কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে রাখাইনে রাতে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে কাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে সেটা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। ওপারে গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এপারের বাসিন্দাদের মাঝে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ১০ থেকে ১১টা পর্যন্ত থেমে থেমে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজুল মোস্তফা লালু।
হোয়াইক্যংয়ের স্থানীয় জেলে নুরুল আলম বলেন, শুক্রবার রাতে আমাদের গ্রামের ওপারে রাখাইনে হঠাৎ গোলাগুলি শুরু হলে এপারে বিকট শব্দ ভেসে আসে। থেমে থেমে টানা এক ঘণ্টার মতো শব্দ শোনা যায়। নতুন করে সীমান্তবর্তী এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা আতঙ্কের কারণ। বছর খানেক আগে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাতের সময় দিনে রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তখন আমরা যারা সীমান্তে বসবাস করি খুবই আতঙ্কে ছিলাম।
- আরও পড়ুন-
- সড়কের অভাবে খাটিয়ায় করে রোগী বহন
- খুলনায় যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
- সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ এলে পদত্যাগ করবো: সিইসি
হোয়াইক্যং ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু বলেন, শুক্রবার রাতে হোয়াইক্যংয়ের ওপারে রাখাইন সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা কাদের মধ্যে ঘটেছে তা স্পষ্ট নই, তবে ধারণা করা হচ্ছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
তিনি আরও উল্লেখ করে বলেন, এক বছর আগে মিয়ানমার জান্তা বাহিনী ও দেশটির বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাতের পর রাখাইনের মংডুসহ কয়েকটি শহর ও গ্রাম এবং নিরাপত্তা বাহিনীর চৌকি ও ক্যাম্প আরাকান আর্মির দখলে চলে যায়। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তের সঙ্গে থাকা রাখাইনের ২৭০ কিলোমিটার সীমান্তও আরাকান আর্মির দখলে যাওয়ার পর এখনো রাখাইন সীমান্ত আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম/এফএ/এএসএম