কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়ার অবৈধভাবে অর্জিত ৮৪ লাখ ৮ হাজার টাকা মূল্যের সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদ জব্দের আদেশ দেন কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মুন্সি আবদুল আজিজ।
রনজিত কুমার বড়ুয়া বর্তমানে চট্টগ্রামে শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপারের দায়িত্বে রয়েছেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ধোপছড়ি ইউনিয়নের শীলঘাটা গ্রামে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতে নিযুক্ত দুদকের আইনজীবী সিরাজ উল্যাহ।
তিনি বলেন, দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অনুসন্ধান করে টেকনাফের সাবেক ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়ার ৮৪ লাখ ৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে নিজ এলাকা সাতকানিয়ার শীলঘাটা গ্রামে ২৪ দশমিক ৫০ শতক জমিতে ৫২ লাখ ২০ হাজার টাকার দোতলা বাড়ি এবং চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার আলমশাহ কাঠঘর এলাকায় ১৪তলা একটি ভবনের ৮তলায় ৩১ লাখ ৮৮ হাজার টাকায় কেনা ১ হাজার ৬৭৫ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। অবৈধ উৎস থেকে পাওয়া টাকায় এসব সম্পদ অর্জন করা হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। আদালত ৮৪ লাখ ৮ হাজার টাকার এসব অবৈধ সম্পদ জব্দে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগ দিয়েছেন।
দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদের তথ্য উঠে আসার পর রনজিত বড়ুয়া এসব সম্পদ বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। তিনি যেন বিক্রি করতে না পারেন, তাই আদালতে এসব অবৈধ সম্পদ জব্দের আবেদন করা হয়। আদালত অবৈধ সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন। রনজিত বড়ুয়ার আর কোথাও অবৈধ সম্পদ রয়েছে কিনা সেটি অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
রনজিত বড়ুয়া টেকনাফ মডেল থানা, কক্সবাজার সদর মডেল থানাসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ওসির দায়িত্ব পালন করেছেন। টেকনাফ থানায় কর্মরত থাকাকালীন তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ ওসির পুরস্কার পান।