‘ট্রফি পাও অথবা না পাও, ভারতের বিপক্ষে হারতে পারবেন না’

3 months ago 50

ওয়ানডে বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একবার হারাতে পেরেছিল। সেটা ২০২১ সালে। ওই ম্যাচে রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলির উইকেট নিয়ে ভারতকে বলতে গেলে একাই ধসিয়ে দিয়েছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

শাহিনের তোপের পর শেষ পর্যন্ত ভারত করতে পেরেছিল ৭ উইকেটে ১৫১ রান। জবাবে দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটেই ১০ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। বাবর ৬৮ রানে আর রিজওয়ান ৭৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।

তবে ওই জয়টি কতটা চাপের মুখে পেয়েছে পাকিস্তান, তা প্রকাশ করেছেন রিজওয়ান। তৎকালিন বোর্ড সভাপতি রমিজ রাজা ক্রিকেটারদের শ্রেফ বলে দিয়েছিলেন, জয় আনতেই হবে। ভারতকে হারাতেই হবে। শিরোপা জিতুক বা না জিতুক, ভারতের বিপক্ষে হার চলবে না। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে একটি ইভেন্ট শেষে সেই স্মৃতি মনে করেন পাকিস্তান ব্যাটার।

এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে ভারত-পাকিস্তানের খেলা রয়েছে। এই ম্যাচকে সামনে রেখে দুই দেশের ক্রিকেটাররা ভক্ত ও সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হন। সম্ভবত এখানেই কোনো একজন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন। তারই উত্তর দিয়েছেন রিজওয়ান।

২০২১ সালের সে ম্যাচের আগে কী হয়েছিল, বোর্ড সভাপতি কী বলেছিলেন ইত্যাদি বিষয়ে খোলাখুলি মন্তব্য করেন রিজওয়ান।

রিজওয়ান বলেন, ‘এর আগে (বিশ্বকাপে) আমরা ভারতকে কখনো হারাতে পারিনি। রমিজ রাজা আমাদের সঙ্গে দেখা করে বললেন, তোমাদের ভারতকে হারাতে হবে। তিনি যখন প্রথমবার আসেন (বোর্ড সভাপতি হিসেবে) তখন বিশ্বকাপে যেতে অনেক সময় বাকি ছিল। কিন্তু ঠিক তখন থেকেই তিনি এই চিন্তার বিকাশ ঘটাতে শুরু করেছিলেন। আমরা বিশ্বকাপের কাছাকাছি আসতেই তিনি বললেন, আপনি ট্রফি জিতুন বা না জিতুন, শুধু ভারতের কাছে হারবেন না। তিনি বলতেন, চাপে নেবেন না, তারপর নিজেই আমাদের চাপ দিতেন।’

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ যে কতটা উত্তেজনাপূর্ণ, এটি ওই ম্যাচের আগে জানতেন না রিজওয়ান। কিন্তু যখন তারা জয় নিয়ে নিজেদের দেশে ফিরে গেলেন, তখন রিজওয়ান বুঝলেন, আসলে এই ম্যাচের উত্তেজনা কতটা তীব্র। পাকিস্তানের বাজারে কোনো কিছু কেনার পর দোকানিরা রিজওয়ানের কাছ থেকে অর্থ বিনিময় করতেন না। ফ্রিতেই সবকিছু দিয়ে দিতেন।

 

রিজওয়ানের ভাষায়, ‘বিশ্বকাপ হোক বা এত বড় ম্যাচ- এটা আমার জন্য প্রথম। তাই আমি বেশ স্বাভাবিক বোধ করছিলাম। আমি মনে করিনি, এটি অন্য কোনো ম্যাচ থেকে আলাদা। কিন্তু আমরা যখন জিতেছি, তখনই বুঝতে পেরেছি, আমরা আসলে কী অর্জন করেছি। পাকিস্তানে আমি কোথাও কেনাকাটা করতে যাই, মানুষ টাকা নেবে না। তারপরে আমি কেনাকাটার জন্য বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কারণ তারা আমাদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে না। তারা সবাই ভারতকে হারানোর জন্য আমাদের প্রশংসা করছিল। আমার দেখা সবাই মানুুষ জয়ের জন্য আমাদের প্রশংসা করছিল। একবার যখন আমি কারো ঘরে গিয়েছিলাম, তখন টেলিভিশনে তারা ম্যাচটি দেখছিল এবং বলেছিল যে তারা প্রতিদিন এটি (ম্যাচ) দেখে।’

 

 এমএইচ/

Read Entire Article