ট্রাম্পকে দেওয়া ফিফা শান্তি পুরস্কারের কড়া সমালোচনায় নরওয়ে

২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফিফার ‘পিস প্রাইজ’ প্রদান নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই পুরস্কারকে গুরুত্বহীন ও অপ্রাসঙ্গিক বলে সরাসরি সমালোচনা করেছে নরওয়ে। দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ও জাতীয় দলের কোচ—উভয়েই অনুষ্ঠান ও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ড্র অনুষ্ঠান চলাকালীন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তি পুরস্কার প্রদান করেন। কিন্তু সেই মুহূর্তে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে নরওয়েতে, এই সিদ্ধান্ত নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। নরওয়েজিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (এনএফএফ) সভাপতি লিসে ক্লাভেনেস নরওয়ের গণমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমি একে পুরোপুরি সিরিয়াসভাবে নিতে পারছি না। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যেন ফিফা ফুটবল নিয়েই কাজ করে, অন্য কোনো বিষয়ের দিকে না ঝুঁকে পড়ে।” পুরস্কারের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ক্লাভেনেস বলেন, “যখন কোনো পুরস্কারের নির্দিষ্ট মানদণ্ড থাকে না, জুরি থাকে না, এমনকি প্রশাসনিক কাজের সঙ্গেও এর কোনো যোগসূত্র থাকে না—তখন সেটি প্রতিষ্ঠানের রাজনীতিকরণ ঘট

ট্রাম্পকে দেওয়া ফিফা শান্তি পুরস্কারের কড়া সমালোচনায় নরওয়ে
২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফিফার ‘পিস প্রাইজ’ প্রদান নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই পুরস্কারকে গুরুত্বহীন ও অপ্রাসঙ্গিক বলে সরাসরি সমালোচনা করেছে নরওয়ে। দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ও জাতীয় দলের কোচ—উভয়েই অনুষ্ঠান ও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ড্র অনুষ্ঠান চলাকালীন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তি পুরস্কার প্রদান করেন। কিন্তু সেই মুহূর্তে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে নরওয়েতে, এই সিদ্ধান্ত নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। নরওয়েজিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (এনএফএফ) সভাপতি লিসে ক্লাভেনেস নরওয়ের গণমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমি একে পুরোপুরি সিরিয়াসভাবে নিতে পারছি না। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যেন ফিফা ফুটবল নিয়েই কাজ করে, অন্য কোনো বিষয়ের দিকে না ঝুঁকে পড়ে।” পুরস্কারের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ক্লাভেনেস বলেন, “যখন কোনো পুরস্কারের নির্দিষ্ট মানদণ্ড থাকে না, জুরি থাকে না, এমনকি প্রশাসনিক কাজের সঙ্গেও এর কোনো যোগসূত্র থাকে না—তখন সেটি প্রতিষ্ঠানের রাজনীতিকরণ ঘটানোর ঝুঁকি তৈরি করে। পুরো বিষয়টিই ছিল অপ্রয়োজনীয়ভাবে দীর্ঘ এবং অস্বস্তিকর।” শুধু ফেডারেশন প্রধানই নয়, নরওয়ের জাতীয় দলের কোচ স্টালে সলবাকেনও এ বিষয়ে সরব হন। নরওয়ের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনআরকে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি সংক্ষেপে বলেন, “পুরো ঘটনাটাই ছিল অদ্ভুত এক প্রদর্শনী। সত্যি বলতে গেলে, বিষয়টা বেশ অস্বস্তিকর লেগেছে।” ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো অবশ্য ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। পুরস্কার প্রদানকালে তিনি বলেন, “এটি আপনার পুরস্কার এবং আপনার সঙ্গে বহন করার মতো একটি মেডেল। এটি সারা বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবলভক্তের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।” তবে ইনফান্তিনোর এই বক্তব্য সমালোচকদের মন ভেজাতে পারেনি। নরওয়ের অবস্থান স্পষ্ট—তাদের মতে, ফুটবল সর্বোচ্চ সংস্থার এমন সিদ্ধান্ত খেলাটিকে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে ঠেলে দিতে পারে। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরের আগে এমন বিতর্ক ফিফার জন্য অস্বস্তিকর বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। শান্তি পুরস্কার আদৌ ফিফার কর্মপরিধির মধ্যে পড়ে কি না—এই প্রশ্নও নতুন করে উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল মহলে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow