ট্রাম্পের নতুন নিয়মে বিপাকে ২ লাখ ইউক্রেনীয় অভিবাসী

যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদিত মানবিক সাহায্য কর্মসূচির আওতায় আশ্রয় নেওয়া প্রায় দুই লাখ ইউক্রেনীয় নাগরিক এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিলম্ব ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে তাদের চাকরি, আয়ের উৎস, স্বাস্থ্যসেবা ও থাকার বৈধ মর্যাদা সবই ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির অধীনে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ইউক্রেনীয় নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ও কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। প্রথম দুই বছরের মেয়াদ শেষে এই অনুমতি নবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হলেও ট্রাম্প প্রশাসন জানুয়ারি থেকে নতুন আবেদন ও নবায়ন কার্যক্রম স্থগিত রাখে। ফলে মার্চ মাস পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ মানুষ তাদের বৈধ মর্যাদা হারানোর ঝুঁকিতে পড়ে। ফ্লোরিডায় রিটজ-কার্লটন হোটেলে ব্যবস্থাপক হিসেবে বছরে ৫০ হাজার ডলারের বেশি বেতন পাওয়া ৩৫ বছরের ক্যাটেরিনা গোলিজদ্রা মেয়াদ শেষ হওয়ায় চাকরি হারিয়েছেন। তার স্বাস্থ্যবিমা বাতিল হয়েছে এবং এখন অবৈধ অবস্থানের কারণে দেশে ফেরত পাঠানোর আতঙ্কেও ভুগছেন। তিনি জানান, এখন তিনি না কাজ করতে পারেন, না বাড়ি ফিরতে পারেন। আরও পড়ুন>>শান্তিচুক্তি মেনে নিতে ইউক্রেনকে এক সপ্তাহ সময় দিলেন ট্রাম

ট্রাম্পের নতুন নিয়মে বিপাকে ২ লাখ ইউক্রেনীয় অভিবাসী

যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদিত মানবিক সাহায্য কর্মসূচির আওতায় আশ্রয় নেওয়া প্রায় দুই লাখ ইউক্রেনীয় নাগরিক এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিলম্ব ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে তাদের চাকরি, আয়ের উৎস, স্বাস্থ্যসেবা ও থাকার বৈধ মর্যাদা সবই ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

২০২২ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির অধীনে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ইউক্রেনীয় নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ও কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। প্রথম দুই বছরের মেয়াদ শেষে এই অনুমতি নবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হলেও ট্রাম্প প্রশাসন জানুয়ারি থেকে নতুন আবেদন ও নবায়ন কার্যক্রম স্থগিত রাখে। ফলে মার্চ মাস পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ মানুষ তাদের বৈধ মর্যাদা হারানোর ঝুঁকিতে পড়ে।

ফ্লোরিডায় রিটজ-কার্লটন হোটেলে ব্যবস্থাপক হিসেবে বছরে ৫০ হাজার ডলারের বেশি বেতন পাওয়া ৩৫ বছরের ক্যাটেরিনা গোলিজদ্রা মেয়াদ শেষ হওয়ায় চাকরি হারিয়েছেন। তার স্বাস্থ্যবিমা বাতিল হয়েছে এবং এখন অবৈধ অবস্থানের কারণে দেশে ফেরত পাঠানোর আতঙ্কেও ভুগছেন। তিনি জানান, এখন তিনি না কাজ করতে পারেন, না বাড়ি ফিরতে পারেন।

আরও পড়ুন>>
শান্তিচুক্তি মেনে নিতে ইউক্রেনকে এক সপ্তাহ সময় দিলেন ট্রাম্প
ট্রাম্পের ২৮ দফা/ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে কী পাবে যুক্তরাষ্ট্র?
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনায় কী আছে?
সহায়তা বন্ধের হুমকি/ জোর করেই ইউক্রেনকে শান্তিচুক্তিতে সই করাবেন ট্রাম্প?

রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলা বহু ইউক্রেন নাগরিক জানিয়েছেন, কেউ কেউ ভয়ে ঘরের বাইরে যেতে পারছেন না। কয়েকজন এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে কানাডা, ইউরোপ বা দক্ষিণ আমেরিকায় চলে গেছেন। কেউ কেউ আবার নিজেদের সুরক্ষায় ‘স্বেচ্ছায় দেশত্যাগের’ আবেদন করেছেন।

এদিকে কিছু ইউক্রেন নাগরিককে অভিবাসন কর্মকর্তারা নির্মাণস্থল, খাবার সরবরাহ বা গাড়ি চালানোর সময় গ্রেফতার করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

মানবিক এই কর্মসূচির নবায়নের আবেদন আবার চালু হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৯০০ আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে। অন্যদিকে নতুন আইন অনুযায়ী এখন থেকে প্রতি আবেদনকারীর জন্য নতুন করে এক হাজার ডলার ফি যুক্ত হয়েছে, যা আগের ১ হাজার ৩২৫ ডলারের সঙ্গে যোগ হয়ে মোট ২ হাজার ৩২৫ ডলার দিতে হচ্ছে।

শিকাগোর ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেস সদস্য মাইক কুইগলি বলেছেন, অনেকেই এখন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় নিজেকে ‘নির্বাসন-যোগ্য’ মনে করছেন, তাদের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেন ইমিগ্রেশন টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, অনিশ্চয়তা ও দেরির কারণে অনেক পরিবার এখন আর্থিক ও মানসিক সংকটের মধ্যে আছে। কেউ কেউ এমনকি জরুরি হিসেবে নিজেদের গ্রেফতারের আশঙ্কায় জরুরি যোগাযোগের ব্যক্তিও ঠিক করে রেখেছেন।

এক ইউক্রেন নাগরিক বলেছেন, যদি ইউক্রেনে ফিরি, সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে হবে। তার চেয়ে আমি অন্য দেশে গৃহহীন হওয়াকে ভালো মনে করি।

সূত্র: রয়টার্স
কেএএ/

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow