ভারতীয় পণ্য আমদানিতে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সপ্তাহ দুয়েক পর থেকেই কার্যকর হবে এই শুল্কহার। এর ফলে হুমকিতে পড়েছে ভারতের রপ্তানি খাত। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর কাছে বাজার হারানোর আশঙ্কা করছেন ভারতীয় টেক্সটাইল ব্যবসায়ীরা।
তবে নরেন্দ্র মোদীর প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি. আনন্দ নাগেশ্বরন বলছেন, মার্কিন শুল্ক-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ আগামী এক থেকে দুই ত্রৈমাসিকের মধ্যেই কমে যাবে। একইসঙ্গে তিনি বেসরকারি খাতকে দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ারও আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন>>
- ট্রাম্পের শুল্কের প্রতিবাদে মার্কিন পণ্য বয়কটের ডাক ভারতে
- ভারতের ওপর হঠাৎ এত ক্ষেপলেন কেন ট্রাম্প?
- ট্রাম্প-মোদীর ‘বন্ধুত্ব’ নষ্টের নেপথ্যে গরুর দুধ?
- ট্রাম্পের শুল্ক: বাংলাদেশের কাছে বাজার হারানোর শঙ্কায় ভারতের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা
বুধবার (১৩ আগস্ট) নাগেশ্বরন বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসার জন্য মূলত কঠোর ঋণনীতি ও তারল্য সংকট দায়ী। সঠিক কৃষিনীতি গ্রহণ করা গেলে বাস্তব জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ যোগ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মার্কিন শুল্ক প্রসঙ্গে ভারত সরকারের অর্থ উপদেষ্টা বলেন, রত্ন ও অলংকার, চিংড়ি ও বস্ত্র খাতের প্রাথমিক ধাক্কার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের প্রভাব সামাল দেওয়াই বেশি কঠিন হবে। সরকার এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে এবং শিগগির নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য আসবে।
তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আসন্ন আলাস্কা বৈঠক ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনার গতিপথ প্রভাবিত করতে পারে। যদিও শুল্ক আরোপের সঠিক কারণ অনুমান করা কঠিন, এটি ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর ফল হতে পারে বা আরও কৌশলগত কারণ থাকতে পারে বলে মনে করেন ভারত সরকারে এ কর্মকর্তা।
নাগেশ্বরন সতর্ক করে বলেন, শুধু শুল্কের ওপর অতিরিক্ত মনোযোগ না দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য এক দেশের ওপর নির্ভরতা এবং সরবরাহ শৃঙ্খল মজবুতকরণের মতো দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জেও নজর দেওয়া দরকার।
এসময় তিনি ভারতের বেসরকারি খাতকে গবেষণা ও বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান, বিশেষ করে তরুণদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি—যেমন অতিরিক্ত স্ক্রিনটাইম, অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ ও তার ফলে উদ্বেগ ও আত্মহনন প্রবণতা বৃদ্ধির বিষয়ে।
সূত্র: দ্য হিন্দু
কেএএ/