ট্রাম্পের সঙ্গে জিনপিংয়ের ফোনালাপ, তাইওয়ান ইস্যুতে কঠোর অবস্থান চীনের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সোমবারের (২৪ নভেম্বর) এ আলোচনায় দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ও তাইওয়ান বিষয়ক অবস্থান নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা সিনহুয়া। সিনহুয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, শি জিনপিং ট্রাম্পকে বলেন, গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই নেতার মধ্যে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিবাচক অগ্রগতি বজায় রাখা। তিনি স্পষ্ট করে জানান, দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল পর্যায়ে নিতে হলে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা আরও জোরদার করা প্রয়োজন। ফোনালাপে শি জিনপিং বিশেষভাবে তাইওয়ান প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, তাইওয়ানের চীনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ও এই প্রশ্নে বেইজিং কোনো ছাড় দেবে না। চীনের দীর্ঘদিনের সরকারি অবস্থান হলো, তাইওয়ান তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই অবস্থান আন্তর্জাতিক পরিকাঠামোর সঙ্গেও যুক্ত বলে দাবি করে আসছে বেইজিং। অন্যদিকে, ফোনালাপ নিয়ে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া না গেলেও

ট্রাম্পের সঙ্গে জিনপিংয়ের ফোনালাপ, তাইওয়ান ইস্যুতে কঠোর অবস্থান চীনের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সোমবারের (২৪ নভেম্বর) এ আলোচনায় দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ও তাইওয়ান বিষয়ক অবস্থান নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা সিনহুয়া।

সিনহুয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, শি জিনপিং ট্রাম্পকে বলেন, গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই নেতার মধ্যে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিবাচক অগ্রগতি বজায় রাখা। তিনি স্পষ্ট করে জানান, দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল পর্যায়ে নিতে হলে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।

ফোনালাপে শি জিনপিং বিশেষভাবে তাইওয়ান প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, তাইওয়ানের চীনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ও এই প্রশ্নে বেইজিং কোনো ছাড় দেবে না।

চীনের দীর্ঘদিনের সরকারি অবস্থান হলো, তাইওয়ান তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই অবস্থান আন্তর্জাতিক পরিকাঠামোর সঙ্গেও যুক্ত বলে দাবি করে আসছে বেইজিং।

অন্যদিকে, ফোনালাপ নিয়ে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া না গেলেও সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন ও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তায় মত দিয়েছেন।

বিশ্ব রাজনীতির উত্তাল প্রেক্ষাপটে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বের এই ফোনালাপকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষত, তাইওয়ানকে ঘিরে দুই দেশের উত্তেজনা বাড়তে থাকা অবস্থায় শি-ট্রাম্প আলোচনা নতুন ভূরাজনৈতিক আলোচনার দ্বার খুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

সূত্র: এএফপি, রয়টার্স

এসএএইচ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow