ট্রাম্পের সম্মতিতে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা

10 hours ago 5
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেই যুদ্ধবিরতির পর গাজায় বড় আকারে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হোয়াইট হাউস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিমান হামলা শুরুর আগে ট্রাম্পের পরামর্শ নিয়েছিল। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা তাদের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় হামলার আগে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পরামর্শ করেছে বলে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট নিশ্চিত করেছেন। ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়ে গাজা উপত্যকার একাধিক স্থানে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বরাবরের মতোই স্পষ্ট করেছেন যে হামাস, হুথি, ইরান—যারা শুধু ইসরায়েল নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রকেও আতঙ্কিত করতে চায়— তাদের কঠোর মূল্য দিতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রেস সেক্রেটারি বলেন, হুতি, হিজবুল্লাহ, হামাস, ইরান ও ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর উচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সতর্কবার্তাকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া। কারণ তিনি কখনও যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের মিত্র ইসরায়েলের নিরাপত্তা প্রশ্নে আপস করেননি।   গাজায় হামলা বিষয়ে ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা জানায়, তারা হামাসের শীর্ষ কমান্ডার ও রাজনৈতিক নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানায়, তাদের অভিযানের মূল লক্ষ্য হামাসের সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করা। এ বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় নতুন করে হামলা শুরু করা হয়েছে। অ্যাক্সিওস-এর প্রতিবেদক বারাক রভিদ জানিয়েছেন, হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরই ইসরায়েল সামরিক অভিযান শুরু করে। নিহত ও আহতদের সংখ্যা বাড়ছে  গাজার সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩০০ জনের মরদেহ আনা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক, ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গাজায় মানবিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে  গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য পরিচালিত বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও ত্রাণ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, চলতি মাসের ২ মার্চ থেকে ইসরায়েলের অবরোধের ফলে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ, পানি ও খাদ্যের সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ভয়াবহ এই হামলায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে এবং নতুন করে মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে গাজা উপতক্যায়। যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হওয়ায় এখন গাজায় উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Read Entire Article