কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চলন্ত ট্রেন থেকে মেঘনায় পড়ে নিখোঁজ তানভীরের (২০) মরদেহ দুই দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার মেঘনাবাজ এলাকার নদী থেকে তানভীরের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহ নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে নৌ পুলিশ।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখউড়া থানার দেবগ্রামের মো. মেরাজ মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনায় রেলওয়ে সেতু পার হওয়ার সময়ে চলন্ত ট্রেন থেকে নদীতে পড়ে সোহেল তানভীর (২০) নামের এক যুবক নিখোঁজ হন। বাবার সঙ্গে নিজ বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ফিরছিলেন যুবক তানভীর। কিন্তু পথিমধ্য ভৈরব মেঘনায় রেলওয়ে সেতু উপর দিয়ে ট্রেন পাড়ি দেওয়ার সময় হঠাৎ অবসাবধারতার কারণে চলন্ত ট্রেনের দরজা হতে যুবক তানভীর মেঘনা নদীতে পড়ে যান।
পরে তার বাবা পরবর্তী স্টেশনে নেমে ভৈরব মেঘনা নদীতে নিখোঁজ সন্তানকে খোঁজাখুজি করে কোনো সন্ধান পাননি। পরবর্তীতে নিখোঁজের দুদিন পর নরসিংদী জেলার রায়পুরার থানার মেঘনাবাজ এলাকা থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নিখোঁজের স্বজন আব্দুল কাইয়ুম বলেন, পরিবারে ছোট ছেলে তানভীর। লেখাপড়ায় মনোযোগী না হওয়ায় বাবার সঙ্গে মুদি দোকান চালাতো। স্বপ্ন ছিল প্রবাসে যাবে। গত শুক্রবার বিকেলে তার মালয়েশিয়া যাবার ফ্লাইট ছিল। কিন্তু কোনো কারণে যেতে পারেনি। ফেরার সময় ট্রেনে অনেক ভিড় ছিল। হঠাৎ একজন যাত্রী বললো তানভীর অসাবধানতায় হঠাৎ চলন্ত ট্রেন হতে মেঘনা নদীতে পড়ে যায়। পড়ার সময় ব্রীজের রডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে পড়েছে। পরে দুদিন খোঁজাখুজির পর সোমবার দুপুরে রায়পুরা থানার মেঘনাবাজ এলাকার নদীতে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবকের বাবা মেরাজ মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ফ্লাইট বাতিলের পর ছেলেকে নিয়ে ট্রেনে চড়ে বাড়িতে ফিরছিলাম। ট্রেনে আমার পেছনের সিটে বসা ছিল তানভীর। আমি বুঝতেই পারিনি ছেলেটা কিভাবে দরজার পাশে গেলো। আর কিভাবে পড়ে গেল।
এ বিষয়ে ভৈরব নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মো.মনিরুজ্জামান বলেন, মেঘনা নদীতে নিখোঁজের দুদিন পর রায়পুরা থানার মেঘনাবাজ এলাকা থেকে তানভীর নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে যুবকের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজীবুল হাসান/এনআইবি/জিকেএস