ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

পৌষ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। গত তিনদিন ধরে ভোররাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অনেকটা বৃষ্টির মতো ঝরছে ঘন কুয়াশা। চারদিক ঢেকে যাচ্ছে ধূসর চাদরে, ফলে সামান্য দূরের কিছুও দেখা যাচ্ছে না। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন। আবহাওয়া অনুযায়ী ও জেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত কয়েকদিন ধরে ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল গড়িয়ে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্তও সূর্যের দেখা মিলছে না। ফলে শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। দুপুরের দিকে অল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা খুব একটা বাড়ে না। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে সর্বোচ্চ ২৫ সেলসিয়াস। তবে হিমেল বাতাসের কারণে সারাদিনই কনকনে শীত অনুভূত হয়েছে। এই শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর, ভ্যানচালক, কৃষিশ্রমিক ও খোলা আকাশের নিচে থাকা অসহায়রা। অনেকেই কাজে বের হতে পারছেন না, ফলে দৈনিক আয় ব্যাহত হচ্ছে। শীত থেকে রক্ষা পেতে শীতবস্ত্রের দোকান ও ফুটপাতে কম্বল, সোয়েটার ও

ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

পৌষ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। গত তিনদিন ধরে ভোররাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অনেকটা বৃষ্টির মতো ঝরছে ঘন কুয়াশা। চারদিক ঢেকে যাচ্ছে ধূসর চাদরে, ফলে সামান্য দূরের কিছুও দেখা যাচ্ছে না। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন।

আবহাওয়া অনুযায়ী ও জেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত কয়েকদিন ধরে ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঘন কুয়াশার কারণে সকাল গড়িয়ে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্তও সূর্যের দেখা মিলছে না। ফলে শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়।

ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

দুপুরের দিকে অল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা খুব একটা বাড়ে না। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে সর্বোচ্চ ২৫ সেলসিয়াস। তবে হিমেল বাতাসের কারণে সারাদিনই কনকনে শীত অনুভূত হয়েছে।

এই শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর, ভ্যানচালক, কৃষিশ্রমিক ও খোলা আকাশের নিচে থাকা অসহায়রা। অনেকেই কাজে বের হতে পারছেন না, ফলে দৈনিক আয় ব্যাহত হচ্ছে। শীত থেকে রক্ষা পেতে শীতবস্ত্রের দোকান ও ফুটপাতে কম্বল, সোয়েটার ও জ্যাকেট কিনতে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

ঘন কুয়াশার প্রভাব পড়েছে সড়ক ও মহাসড়কেও। ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুরসহ বিভিন্ন সড়কে যান চলাচলে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। কম দৃশ্যমানতার কারণে চালকরা দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছেন ও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছেন।

স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের শীত ও কুয়াশা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় শীতার্ত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রশাসনসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।

তানভীর হাসান তানু/এমএন/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow