ডাকসু নির্বাচন: ঢাবির সব পরীক্ষা সাময়িক স্থগিতের আহ্বান

2 weeks ago 5

ডাকসু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে ৫-১১ আগস্ট পর্যন্ত সব পরীক্ষা সাময়িক স্থগিতসহ ৬টি পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানিয়েছে বাম সমর্থিত প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’। রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানায় প্যানেলটি।

এসময় লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান প্যানেলের গণআন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী মোজাম্মেল হক। তাদের প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি। সেগুলো হলো-

এক. অপরাধে সম্পৃক্তদের প্রার্থিতা বাতিল: যেসব ব্যক্তি অতীতে শিক্ষার্থীদের নিপীড়ন, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে হামলাসহ অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধ বা গুরুতর অনিয়মে সম্পৃক্ত তাদের প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে।

দুই. ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি ও স্থানান্তর: বর্তমান কেন্দ্র সংখ্যা সীমিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার প্রয়োগে ভোগান্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই ভোটকেন্দ্র বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। এছাড়া আবাসিক হলগুলোর নিকটবর্তী ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা সহজে ভোট দিতে পারেন।

তিন. পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত: নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বা পরপরই পরীক্ষা থাকায় অনেকের নির্বাচনি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ৫-১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব পরীক্ষা স্থগিত রেখে কেবল ক্লাস চালু রাখতে হবে। এর ফলে প্রার্থীরা পড়াশোনা ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো একটিকে বেছে নিতে বাধ্য হবেন না। আর ভোটাররা যথাযথভাবে প্রার্থীদের যাচাই-বাছাইয়ের সময় পাবেন।

চার. আচরণবিধি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোকে অবিলম্বে চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। এরই মধ্যে মিছিলের মাধ্যমে ফরম তোলা, ফরম উত্তোলনে বাধা দেওয়া, নিয়ম ভঙ্গ করে বিলবোর্ড/ব্যানার প্রদর্শন, বিভিন্ন হল বা মসজিদে প্রচারণা ইত্যাদি ঘটনা ঘটেছে। এগুলো নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। এসব বিষয়ে প্রশাসনের আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখা জরুরি।

পাঁচ. ব্যালটে ছবি সংযুক্তকরণ: ভোটারদের সুবিধার্থে প্রার্থীদের নামের পাশে তাদের ছবি সংযুক্ত করতে হবে, যাতে বিভ্রান্তির সুযোগ না থাকে।

ছয়. ভোটদান প্রক্রিয়া সহজ করা: অনেকের জন্য স্বল্প সময়ে হল কার্ড করা বা কার্ড নবায়ন করা কষ্টসাধ্য। তাই ভোটদান প্রক্রিয়া সহজ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো বৈধ ডকুমেন্ট থাকার ভিত্তিতে ভোটদানের ব্যবস্থা করা দরকার।

তিনি বলেন, এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে ডাকসু নির্বাচন গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক হওয়ার পথ সুগম হবে। এর মাধ্যমে নির্বাচনে সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের সুযোগ প্রসারিত হবে। কর্তৃপক্ষ যেন অবিলম্বে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই আহ্বান জানাই।

এসময় প্রতিরোধ পর্ষদের ভিপি পদপ্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি বলেন, গত উনিশের ডাকসু নির্বাচনে আমরা দেখেছি যারা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকে তারা আচরণবিধির তোয়াক্কা করেন না। তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন। আমরা মনে করি, ফ্যাসিবাদী আমল শেষ হওয়ার পর এই অপচর্চাকে প্রশাসন প্রশ্রয় দেবে না।

এফএআর/এমআইএইচএস/জেআইএম

Read Entire Article