ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে ঢাবি উপাচার্যকে অবহিত করলেন রাশেদ

3 hours ago 6

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরকে ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে অবহিত করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) এক চিঠিতে এ বিষয়ে তিনি অবহিত করেন।

তিনি বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তিনি যোগ্য শিক্ষকদের সমন্বয়কে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। আশা করি ওই কমিটি অতীতের মতো তদন্ত ঝুলিয়ে রাখবেন না। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমের অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন এবং ভুক্তভোগী প্রার্থীদের সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে নজির সৃষ্টি করবেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ অনিয়ম ও কারচুপির সাথে জড়িত হওয়ার সাহস না করে।

তিনি আরও বলেন, আমি মো. রাশেদ খাঁন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের ২০১২-২০১৩ সেশন, সূর্যসেন হলের সাবেক শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে আমি জিএম প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করি। ওই নির্বাচনে আমার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৬০৬৩টি দেখানো হয়। সেই নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য মো. আক্তারুজ্জামানের ভোট কারচুপির সহযোগিতায় জিএস হিসেবে নির্বাচিত দেখানো হয় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে। ডাকসুর ইতিহাসে রাত সাড়ে তিনটায় ফলাফল ঘোষণা করে তৎকালীন উপাচার্য মো. আক্তারুজ্জামান ছাত্রসমাজের সাথে প্রহসন ও মশকরায় লিপ্ত হন। জাতীয় নির্বাচনের চেয়েও জঘন্য কারচুপিতে লিপ্ত হন শিক্ষক নামধারী এই ফ্যাসিবাদের দোসর উপাচার্য ও তার সহযোগী শিক্ষকরা। এমনকি জিএস প্রার্থী গোলাম রাব্বানী ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে কোন নিয়ম না মেনেই উপাচার্য মো. আক্তারুজ্জামানের সহযোগিতায় এমফিলে ভর্তি হয়। সেসময় জাতীয় দৈনিকে এসংক্রান্ত অসংখ্য সংবাদও প্রকাশিত হয়।

রাশেদ খাঁন বলেন, যেহেতু গোলাম রাব্বানীর ছাত্রত্বই ছিলো না ও শিক্ষকদের সহযোগিতয় অবৈধ উপায়ে ভর্তি হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালটপেপারে অবৈধভাবে ছিল মারা, কৃত্রিম লাইন সৃষ্টি করা, ভোট দানে ভয়ভীতি প্রদর্শন করাসহ নানা কারচুপির সাথে যুক্ত হয়। এ ছাড়া সে নিষিদ্ধ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অসংখ্য শিক্ষার্থীকেও নির্যাতন করেছে, ক্যাম্পাসে অসংখ্য হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে। এক্ষেত্রে আমি তার ছাত্রত্ব ও ডাকসু পদ বাতিল দাবি করছি। সেসময়েই সংক্ষুব্ধ প্রার্থী হিসেবে ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। কারণ ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিলো ডাকসু নির্বাচনে উপাচার্য মো. আক্তারুজ্জামানকে ভোট কারচুপিতে সহযোগিতাকারী ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষকদের সমন্বয়ে।

তিনি বলেন, যেহেতু ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। আপনার নিকট আমার আকুল আবেদন, ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনের কারচুপির অনুসন্ধানে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন, জড়িত শিক্ষকদের শাস্তি ও বহিস্কার, অবৈধ উপায়ে ভর্তি হয়ে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সকল সদস্যদের ডাকসুর সদস্য পদ বাতিলপূর্বক ভুক্তভোগী প্রার্থীদের মূল্যায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এক্ষেত্রে আমি আপনার নিকট আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।

Read Entire Article