ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহর আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন জালালের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী রফিকুল ইসলাম। অন্যদিকে, জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সৈয়দ গোলাম মোর্তজা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।
গত ২৬ আগস্ট জালালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত। এর আগে ২৫ আগস্ট মধ্যরাতে আসামি জালালের বিরুদ্ধে তার রুমমেট মো. রবিউল হককে আঘাত করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বলা হয়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী রবিউল রাত ১২টার দিকে নিজের কক্ষে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে জালাল ঘরে ঢুকে বৈদ্যুতিক লাইট জ্বালান এবং চেয়ার টানা হেচড়া করে ‘বিকট’শব্দ করতে শুরু করেন। তাতে রবিউলের ঘুম ভেঙে যায়। তিনি জালালকে বলেন, ‘ভাই সকালে আমি লাইব্রেরিতে যাবো, আপনি একটু আস্তে শব্দ করেন। জালাল তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে রবিউলের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন এবং একপর্যায়ে রবিউলকে ‘হত্যার উদ্দেশ্যে’ কাঠের চেয়ার দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করেন।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, রবিউল তার হাত দিয়ে কাঠের চেয়ারের আঘাত প্রতিহত করলেও চেয়ারের কাঠের আঘাত তার কপালে জখম হয়। পরে জালাল ওই রুমের ভেতর থাকা পুরনো টিউব লাইট দিয়ে রবিউলের মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করেন। রবিউল মাথা সরিয়ে নিলেও তার বুকের বাঁ পাশে আঘাত লাগে এবং টিউব লাইট ভেঙে জখম হয়। জালাল তখন ভাঙা ও ধারালো টিউব লাইট দিয়ে রবিউলকে আঘাত করলে তিনি বাঁ হাত দিয়ে প্রতিহত করেন। এতে তার হাতে জখম হয়।
এমআইএন/এমএএইচ/এমএস