ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায়। ভোটগ্রহণ শেষের ৭ ঘণ্টা পার হলেও ফল ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। শেষ খবর অনুযায়ী রাত পৌনে ১১টার দিকেও ভোট গণনা চলছে।
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অপতথ্য ছড়াতে দেখা যাচ্ছে। আজ ফল ঘোষণায় বেশি দেরির কারণে এ অপতথ্য ও গুজব ছড়ানোর হার বাড়ছেই। মনগড়া অনেক ফলাফলের তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন চক্র।
অনেকে আবার ঘোষিত ফলাফলের আদলে রিটার্নিং অফিসের প্যাডে ভুয়া নাম বসিয়ে ইচ্ছামতো প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করছেন। কেউ কেউ বিভিন্ন কেন্দ্রে কে কত ভোট পেয়েছেন তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
তবে ডাকসুর নির্বাচন কমিশন সূত্র বলছে, এখনো ভোট গণনার কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। অধিকাংশ হল সংসদের ভোট গণনা শেষ। এখন কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনার কাজ চলছে।
- আরও পড়ুন
ডাকসু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে, বড় অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি
বুধবার ঢাবির ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে
এক কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট বাক্স খোলা হয়েছে ৫টারও পর। তার আগে অতিরিক্ত থাকা খালি ব্যালট সিলগালা করতে হয়েছে। এরপর ভোটগ্রহণ করা ব্যালটগুলো সাজানোর কাজ ম্যানুয়ালি করেছেন কেন্দ্রে থাকা স্বল্প সংখ্যক কর্মকর্তারা। এতে অনেক সময় লেগেছে।
তিনি আরও জানান, মেশিনে ওএমআর ব্যালট স্ক্যানিং শুরু হয়েছে রাত ৮টার দিকে। এরপর থেকে গণনা চলছে। মেশিনে গণনার পর তা আবার লিস্টে তোলার কাজ রয়েছে। এতসংখ্যক ব্যালট, এত প্রার্থী- সবার ভোটের ব্যালট প্রস্তুত করাটাই চ্যালেঞ্জিং।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়, যা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে গণনার প্রক্রিয়া শুরু করেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। ভোট গণনা শেষে সিনেট ভবন থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর থেকে সব কেন্দ্রের সামনে প্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তারা ফলের অপেক্ষায় রয়েছেন। রাতেও তারা কেউ কেন্দ্র ছেড়ে যাননি। ভোটে কে জিতবেন তা নিয়ে চলছে জল্পন-কল্পনা।
ডাকসু রিটার্নিং অফিসের তথ্যমতে, নির্বাচনে গড়ে ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীরা। এ হলের ৮৮ শতাংশ ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এছাড়া আরও ১২ হলের শিক্ষার্থীরা ৮০ শতাংশের ওপরে ভোট দিয়েছেন। ছাত্রীদের হলগুলোতে তুলনামূলক ভোট পড়ার হার কম।
এএএইচ/কেএসআর