ডিজিটাল হাইজিন, ব্যাপারটি হয়তো বুঝতে পারছেন না। হাইজিন বুঝলেও ডিজিটাল হাইজিন আবার কী তা বোধগম্য হচ্ছে না অনেকের। ডিজিটাল দুনিয়ায় সারাক্ষণ আপনার বিচরণ। সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় বুঁদ হয়ে থাকছেন। কখনোবা ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন বিভিন্ন কাছে। কিন্তু জানেন কি? এই ডিজিটাল দুনিয়ায় কিন্তু আপনি আমি কেউ নিরাপদ নই। আমাদের কোনো তথ্যই গোপন থাকছে না এখানে। ডিজিটাল হাইজিন মানা খুবই জরুরি।
ডিজিটাল হাইজিন বলতে বোঝায় ইন্টারনেট, ডিভাইস এবং অনলাইন অ্যাকাউন্ট ব্যবহারে সচেতন ও নিরাপদ অভ্যাস গড়ে তোলা। যেমন- নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা, অজানা লিংকে ক্লিক না করা, সফটওয়্যার আপডেট রাখা, সাইবার স্ক্যাম থেকে সতর্ক থাকা, ডাটা ব্যাকআপ রাখা ইত্যাদি। এটি মূলত ডিজিটাল দুনিয়ায় নিজের তথ্য, ডিভাইস ও গোপনীয়তা সুরক্ষিত রাখার নিয়ম।
এটি কেন মানা জরুরি?
১. সাইবার সুরক্ষা: হ্যাকার, ভাইরাস, ম্যালওয়্যার থেকে বাঁচায়।
২. গোপনীয়তা রক্ষা: ব্যক্তিগত ছবি, ফাইল বা তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়া রোধ করে।
৩. আর্থিক সুরক্ষা: অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ফিন্যান্স বা ই-কমার্স লেনদেন নিরাপদ রাখে।
৪. ডিজিটাল জীবনযাত্রার শৃঙ্খলা: ফেইক নিউজ, ফিশিং মেইল বা আসক্তি থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।
কারা মানবেন?
ডিজিটাল হাইজিন আসলে সবাইকে মানতে হবে, যেমন—
১. সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী
২. শিক্ষার্থী ও গবেষক
৩. ব্যাংকিং/ই-কমার্স ব্যবহারকারী
৪. অফিস বা কর্পোরেট কর্মী
৫. সাংবাদিক, কনটেন্ট ক্রিয়েটর
৬. সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা
অর্থাৎ, যে কেউ স্মার্টফোন, কম্পিউটার বা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তার জন্যই ডিজিটাল হাইজিন অপরিহার্য।
না মানলে যে ধরনের বিপদে পড়তে পারেন
১. হ্যাকিং ও ডাটা চুরি- ব্যক্তিগত ছবি, তথ্য, বা ব্যাংকিং ডাটা চুরি হতে পারে।
২. আর্থিক ক্ষতি-ফিশিং বা প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতে পারে।
৩. পরিচয় চুরি-অন্য কেউ আপনার নামে ফেইক প্রোফাইল খুলে অপব্যবহার করতে পারে।
৪. সাইবার বুলিং বা ব্ল্যাকমেইল-ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে হয়রানি করা হতে পারে।
৫. ম্যালওয়্যার আক্রমণ-ভাইরাস ঢুকে ডিভাইস নষ্ট বা ডাটা হারিয়ে যেতে পারে।
৬. প্রফেশনাল ক্ষতি-অফিসের গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে চাকরি বা প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট হতে পারে।
আরও পড়ুন
সোশ্যাল মিডিয়া নজর রাখছে আপনার ব্যক্তিগত জীবনেও
পানি ছাড়াও যেসব কারণে স্মার্টফোন নষ্ট হতে পারে
সূত্র: হাইজিন ফ্লিপবুকস
কেএসকে/