ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে নতুন রুটে চলবে ট্রেন

2 months ago 38

>> আগের রুটেই থাকবে সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেসে
>> রাস্তা কমবে ১৬৮ কিলোমিটার

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে নড়াইল হয়ে নতুন রুটে ঢাকা থেকে খুলনা এবং বেনাপোলে চলাচল করবে ট্রেন। নতুন এ পথে সময় লাগবে মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টা। চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষে প্রস্তুত পদ্মা রেল লিংকের পুরো লাইন। এখন অপেক্ষা শুধু সময়ের।

পদ্মা রেল লিংকের দ্বিতীয় ফেজের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এরইমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে নতুন রুটের পরীক্ষামূলক রেল চলাচল। তবে নতুন রুট চালু হলেও সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেসের রুটের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। আগের রুটেই এদুটি ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে নতুন একটি ট্রেন চলবে এ রুটে। প্রতিদিন খুলনা থেকে যশোরের সিঙ্গিয়া, নড়াইল, মধুমতি সেতু, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি, ভাঙা হয়ে ঢাকায় যাবে ট্রেনটি। ঢাকা থেকে ফিরতি ট্রেনটি যশোর হয়ে যাবে বেনাপোল। বেনাপোল থেকে একই রুটে ঢাকায় ফিরবে ট্রেনটি। বিকেল আবার ঢাকা থেকে নড়াইলের একই রুট ধরে ফিরবে খুলনায়। এতে ৩৭৬ কিলোমিটার থেকে পথ কমে আসবে ২০৮ কিলোমিটার। এতে রাস্তা কমবে ১৬৮ কিলোমিটান। আর খুলনা থেকে ঢাকায় যেতে সময় লাগবে সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা।

‘প্রতিদিন খুলনা থেকে যশোরের সিঙ্গিয়া, নড়াইল, মধুমতি সেতু, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি, ভাঙা হয়ে ঢাকায় যাবে ট্রেনটি। ঢাকা থেকে ফিরতি ট্রেনটি যশোর হয়ে যাবে বেনাপোল। বেনাপোল থেকে একই রুটে ঢাকায় ফিরবে ট্রেনটি। বিকেল আবার ঢাকা থেকে নড়াইলের একই রুট ধরে ফিরবে খুলনায়।’

রেলওয়ের খুলনা ট্রাফিক পরিদর্শক হংশুমান রায় তপু জানান, আশা করছি ডিসেম্বরের ১ বা ২ তারিখ থেকে স্বাভাবিক চলাচল শুরু করতে পারবো। এর মধ্যে জনবলের চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। নতুন জনবল না পেলেও অন্য সেটআপের জনবল দিয়ে আপাতত ট্রেন চালানো হবে।

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. মামুনুল ইসলাম জানান, প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে খুলনা থেকে ঢাকায় এবং বেনাপোল ঢাকায় নতুন রুটের যাত্রার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা অনুযায়ী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এ পথে যাত্রীবাহী ট্রেন চালাবো। নতুন রুটটি খুলনা থেকে যাত্রা শুরু করে যশোরের সিঙ্গিয়া থেকে নড়াইল হয়ে মধুমতি সেতু পার হয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি, সেখান থেকে ফরিদপুরের ভাঙা হয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকায় যাবে। ট্রেনটি পরবর্তীতে ঢাকা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোলে যাবে। একইভাবে বেনাপোল থেকে ঢাকা ও বিকেলে ঢাকা থেকে খুলনায় ফিরবে।

এএইচ/জেআইএম

Read Entire Article