ঢাকঢোল পিটিয়ে বেদখলে থাকা জমি উদ্ধার
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আদালতের আদেশে এক যুগ ধরে বেদখলে থাকা এক ব্যক্তির ৮ শতক জমি উদ্ধার হয়েছে। পুরো সময়জুড়ে পুলিশ ও আদালতের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঢাকঢোল পিটিয়ে জমি প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আদালতের পক্ষে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরিমাপ করে উদ্ধার করা জমিতে লাল নিশানা গেড়ে দেওয়া হয়। ওই জমিতে দখলদাররা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছিল। সেগুলো আদালতের পক্ষ থেকে আনা ১০ জন শ্রমিক দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ঢাকঢোলের শব্দে উৎসুক জনতা ভিড় করতে দেখা যায়। ভাঙার পূর্বে ওই স্থাপনায় থাকা ভাড়াটিয়া পরিবারগুলোকে মালামাল নিয়ে যেতে দেখা গেছে। সকাল ১১টা থেকে বিকাল পর্যন্ত চলে স্থাপনা ভেঙে জমি উদ্ধার কাজ।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাউজান উপজেলার দেওয়ানপুর গশ্চি গ্রামের মৃত দুলা মিয়ার ছেলে মো. নুরুল আলমের সঙ্গে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা খোন্দাকার পাড়ার কবির আহাম্মদের স্ত্রী মোছা. হালিমা খাতুনের জায়গাসংক্রান্ত বিরোধ সৃষ্টি হয়। নুরুল আলম জায়গাটি ২০০৯ সালে খরিদ করেন। এরপর ২০১৩ সাল পর্যন্ত দখলে ছিল। কিন্তু এটি বেদখল হয়ে গেলে ২০১৪ সালে তৃতীয় যুগ্ম জজ আদালতে মামলা করেন তিনি। সেটি রাঙ্গুনিয়া আদালতে স্থানান্তরিত হলে সেখানে দীর্ঘ সময় মামলা পরিচালনা করে রায় পান নুরুল আলম। পরে প্রতিপক্ষ হালিমা বেগম গিয়ে একটি মিস মামলা করলে সেখানেও পক্ষে রায় পান তিনি। তারা আবার গিয়ে জেলা জজের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু সেখানেও তাদের মামলা নামঞ্জুর হয়ে যায়।
এরপর সেই রায়ের অনুকূলে পূর্বের দাখিল করা মামলার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আদালত জায়গাটি নুরুল আলমকে দখল বুঝিয়ে দেন।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী নুরুল আলম কালবেলাকে বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পর আইনের সহায়তায় আমি ও আমার পরিবার জায়গা বুঝে পেলাম। এভাবে জমি পাওয়ায় আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেছে।’
এ বিষয়ে আদালতের নাজির শাহ আলম কালবেলাকে বলেন, ‘আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকঢোল পিটিয়ে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় কোনো ধরনের ঝামেলা হয়নি।’