ঢাকা-রাজশাহী রুটে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা

5 hours ago 7

বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবি নিয়ে মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্বের জেরে নাটোর, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সরাসরি ঢাকায় চলাচলকারী পাঁচটি বৃহৎ পরিবহন কোম্পানির বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে এই রুটে চলাচলকারী হানিফ পরিবহন, কেটিসি, দেশ ট্রাভেলস, ন্যাশনাল ট্রাভেলস ও গ্রামীণ ট্রাভেলসের সকল বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নাটোর বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, যারা ঢাকাগামী বাসের টিকিট কিনেছিলেন, কাউন্টারের কর্মচারীরা তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছেন। ফলে যাত্রীদের বিকল্প পথে ঢাকা যেতে হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। তবে একতা পরিবহন ও কিছু লোকাল বাস চলায় সেখানে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

এর আগে এই পাঁচটি পরিবহন কোম্পানির বাসের শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গত ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর কর্মবিরতি পালন করেছিলেন। পরে মালিক ও শ্রমিকদের আলোচনার ভিত্তিতে কিছু বেতন বৃদ্ধির শর্তে বাস চলাচল আবার শুরু হয়। তবে মালিকপক্ষ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে জানায় যে বর্ধিত বেতন-ভাতা দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এর প্রেক্ষিতে ফের তারা বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেন।

শ্রমিকরা জানান, আমাদের ন্যায্য বর্ধিত বেতন বৃদ্ধি নিয়ে মালিকপক্ষই বাস চলাচল বন্ধ করেছেন। ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তাদের অভিযোগ, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তাদের বেতন বাড়ানো হয়নি। বর্তমানে চালক এক ট্রিপে পান মাত্র ১২০০ টাকা, হেলপার ৬০০ টাকা ও সুপারভাইজার আরও কম। তারা দাবি তুলেছেন, চালকের বেতন ট্রিপ প্রতি ২ হাজার, হেলপারের ১ হাজার ও সুপারভাইজারের ১১০০ টাকা নির্ধারণের পাশাপাশি হোটেল ভাড়া ও খাবারের খরচ ভাতা হিসেবে দেওয়ার জন্য।

এ বিষয়ে হানিফ কাউন্টারের কাউন্টার মাস্টার খন্দকার কোরবান বলেন, মালিকদের নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।

রেজাউল করিম রেজা/কেএইচকে/এএসএম

Read Entire Article