ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ অংশে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কাচপুর থেকে শুরু হয়ে উপজেলার রূপসী পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।
যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, সড়ক সংস্কারের কাজ ধীরগতির কারণে যানজট সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে সড়কের কাঁচা অংশে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এ কারণে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। ফলে যানজট হচ্ছে।
নুর আলম নামের এক যাত্রী জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিমরাইল মোড় যাওয়ার জন্য ৩০ মিনিট আগে বরপা থেকে বাসে উঠেছি। কিন্তু যানজটে পড়ে এখনো তারাবো বিশ্বরোড পার হতে পারিনি। সড়কে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি চোখেই পড়েনি । যানজট সমস্যা সমাধানে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।’
মেঘলা পরিবহনের যাত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী যাবো। গাউছিয়া থেকে এক ঘণ্টা আগে বসে চড়েছি। এখনো রূপসী পার হতে পারিনি। যানজটবিহীন সড়কে এ পথ পাড়ি দিতে সর্বোচ্চ ৬-৭ মিনিট লাগতো।’
ঢাকা-সিলেট সড়কে চলাচলকারী যাতায়াত পরিবহনের বাসের চালক মকবুল হোসেন বলেন, ‘ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যেতে আমার তিন ঘণ্টা সময় লাগার কথা। অথচ বরপা আসতেই লেগেছে দুই ঘণ্টা।’
কিশোরগঞ্জ থেকে আসা ঢাকাগামী পণ্যবাহী ট্রাকচালক ফারুক হোসেন বলেন, ‘এক ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। আমি প্রায়ই ট্রিপ নিয়ে রাস্তায় চলাচল করি। এই এরিয়ায় প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। এখানে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।’
এ বিষয়ে ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল কাদের জিলানী জাগো নিউজকে বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে সড়কে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এতে গাড়ি ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে। আবার আগে যাওয়ার জন্য কিছু গাড়ি একেক সাইডে একাধিক লাইন করে ফেলছে। এতেও যানজট দীর্ঘ হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশের জনবলেরও কমতি রয়েছে। তাই সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে যানজট নিরসনে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
নাজমুল হুদা/এসআর/জেআইএম