ঢাকায় ৫০ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিলো যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকায় ৫০ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিসের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেটিভ ট্রেনিং অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম (ইসিট্যাপ) এবং ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস মিশন (আইজেএম)। ২৬ মে থেকে অ্যাডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টারে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

মানব পাচার প্রতিরোধ এবং ভুক্তভোগীকে সহায়তা দেওয়া ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এ প্রশিক্ষণ শেষ হয় বৃহস্পতিবার (৬ জুন)। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। বিশেষ অতিথি ছিলেন মানবপাচার ট্রাইব্যুনাল ঢাকার বিচারক রফিকুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া, আইজেএম-এর গ্লোবাল আফটারকেয়ার প্রধান পামেলা মাসাখভি এবং অ্যাক্টিং ডেপুটি চিফ অফ মিশন স্টিভেন ইবেলি।

প্রশিক্ষণটি উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রাথমিক সাড়াদানকারী এবং তদন্তকারী পুলিশকে যথাযথভাবে পাচার সম্পর্কিত অপরাধের তদন্ত, মানব পাচারের শিকারদের সহায়তা, মানবাধিকারের অবমাননা শনাক্ত করা এবং অবৈধ অর্থ পাচার চিহ্নিত করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং জ্ঞানের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত ছিল ভুক্তভোগীদের সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক আইনি নীতি, উপযুক্ত ভুক্তভোগী/বেচে যাওয়া ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকারের কৌশল এবং ব্যবহারিক অনুশীলন সমর্থিত কেস স্টাডির উদাহরণ।

এ প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করেছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। অংশগ্রহণ করে উত্তরা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ডিভিশন-কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসিইউ), সিটিটিসিইউ’র সাইবার ক্রাইম বিভাগ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন (অপারেশন), স্পেশাল ব্র্যাঞ্চ (এসবি)।

ইসিট্যাপ এবং আইজেএম প্রশিক্ষণটির মাধ্যমে গত ছয় মাসে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ পুলিশ এবং মানব পাচারের শিকারদের সহায়তার জন্য অংশীদারত্ব করেছে। যার ফলে ভবিষ্যতের প্রয়াসে দীর্ঘমেয়াদী সক্ষমতা গড়ে তুলতে পুলিশ প্রশিক্ষকদের বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করা হবে।

অনন্য এ অংশীদারত্ব ইসিট্যাপ এবং আইজএম-কে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করার সুযোগ দেয়। ইসিট্যাপ-এর আন্তর্জাতিক লক্ষ্য মানবাধিকার রক্ষা করে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের হুমকি হ্রাস করে এমন পেশাদার এবং স্বচ্ছ আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। আইজেএম একটি বৈশ্বিক সংস্থা যা দরিদ্রদের সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে, পাচারের শিকারদের উদ্ধার ও পুনর্বাসন করতে এবং অপরাধীদের কার্যকর বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করে।

মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ইসিট্যাপ-এর বর্তমান প্রচেষ্টাকে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইন্টারন্যাশনাল নারকোটিক্স অ্যান্ড ল’ অ্যানফোর্সমেন্ট অ্যাফেয়ার্স (আইএনএল) ব্যুরো, আইজেএম একটি দাতব্য সংস্থা যা অনুদানের মাধ্যমে কাজ করে।

আইএইচআর/এমআইএইচএস/এমএস