ঢাকায় আতিফ আসলামের কনসার্টও স্থগিত

ঢাকায় সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক কনসার্ট বাতিলের ধারাবাহিকতায় এবার স্থগিত হলো পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের বহুল প্রতীক্ষিত কনসার্ট। আগামী ১৩ ডিসেম্বর ঢাকায় তার পারফর্ম করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে আয়োজকরা। সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশি ভক্তদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছেন আতিফ আসলাম। এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় বাংলাদেশি ভক্তরা, দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ১৩ ডিসেম্বর ঢাকায় আমাদের কনসার্টটি আর অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। আয়োজক দল প্রয়োজনীয় স্থানীয় অনুমতি, নিরাপত্তাজনিত ছাড়পত্র এবং লজিস্টিকসহ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারেনি।’ কনসার্ট আয়োজনের দায়িত্বে ছিল দুটি প্রতিষ্ঠান—‘স্পিরিটস অব জুলাই’ এবং ‘মেইন স্টেইজ’। তবে এখনো পর্যন্ত অনুষ্ঠান বাতিলের কারণ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি তারা। বিভিন্ন সূত্র বলছে, আয়োজকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি অনুমতি পাওয়া যায়নি। কয়েকটি প্রয়োজনীয় নথি প্রক্রিয়াধীন থাকায় শেষ মুহূর্তে এসে অনুষ্ঠান স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এদিকে ‘চলঘুরি’ নামে একটি টিকিটিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আড়াই হাজার

ঢাকায় আতিফ আসলামের কনসার্টও স্থগিত

ঢাকায় সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক কনসার্ট বাতিলের ধারাবাহিকতায় এবার স্থগিত হলো পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের বহুল প্রতীক্ষিত কনসার্ট। আগামী ১৩ ডিসেম্বর ঢাকায় তার পারফর্ম করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে আয়োজকরা।

সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশি ভক্তদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছেন আতিফ আসলাম। এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় বাংলাদেশি ভক্তরা, দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ১৩ ডিসেম্বর ঢাকায় আমাদের কনসার্টটি আর অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। আয়োজক দল প্রয়োজনীয় স্থানীয় অনুমতি, নিরাপত্তাজনিত ছাড়পত্র এবং লজিস্টিকসহ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারেনি।’

কনসার্ট আয়োজনের দায়িত্বে ছিল দুটি প্রতিষ্ঠান—‘স্পিরিটস অব জুলাই’ এবং ‘মেইন স্টেইজ’। তবে এখনো পর্যন্ত অনুষ্ঠান বাতিলের কারণ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি তারা।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, আয়োজকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি অনুমতি পাওয়া যায়নি। কয়েকটি প্রয়োজনীয় নথি প্রক্রিয়াধীন থাকায় শেষ মুহূর্তে এসে অনুষ্ঠান স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এদিকে ‘চলঘুরি’ নামে একটি টিকিটিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আড়াই হাজার থেকে ৯ হাজার টাকা মূল্যমানের টিকিট বিক্রি হচ্ছিল। হঠাৎ কনসার্ট স্থগিত হওয়ায় টিকিটধারীদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা দেখা দিয়েছে—অনেকে এখন রিফান্ডের অপেক্ষায়।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এমন আকস্মিক আয়োজনে ভেস্তে যাওয়া দর্শকদের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি তৈরি করতে পারে বড় ধরনের অসন্তোষ। এছাড়া বারবার কনসার্ট বাতিল হওয়া বাংলাদেশের সংগীত আয়োজন শিল্পের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow