ঢাকায় ‘বন্দিজীবন’ কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা

লাতিন-বাংলা সুপার কাপ নামের একটি বিতর্কিত প্রতিযোগিতায় খেলতে এসে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার একঝাঁক তরুণ ফুটবলারের। আর্জেন্টিনার অ্যাথলেটিকো চার্লোন এফসি, ব্রাজিলের সাও বার্নার্দো ক্লাব এবং বাংলাদেশের তরুণদের নিয়ে গড়া দল নিয়ে বসেছিল এই সুপার কাপ। তবে সবার নজর ছিল ১১ ডিসেম্বরের ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ক্লাবের ম্যাচে। যদি ওই ম্যাচ বাতিল করতে হয় আয়োজকদের। নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ঢাকা স্টেডিয়াম বরাদ্দ বাতিল করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তাতেই ভন্ডুল হয়ে যায় সব আয়োজন। অর্থ আয়ের প্রধান ম্যাচটি বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়ে আয়োজক এএফ বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। হোটেল ভাড়া, বিমান ভাড়া দিতে না পারায় ব্রাজিলের ফুটবলাররা নিজেদের ব্যবস্থপনায় দেশে ফিরে গেলেও আর্জেন্টিনার ১৮ জন ফুটবলার আটকা পড়েছিলেন ঢাকা। ১০ দিনের মতো ‘বন্দিজীবন’ পার করে আর্জেন্টিনার তরুণ ফুটবলাররা অবশেষে দেশে ফিরে গেছেন রোববার। একটা উৎসবমুখর আয়োজনের আভাস ছিল এই সুপার কাপে। যে লেভেলেরই হোক, ঢাকা ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ক্লাব ফুটবল যুদ্ধ। শুধু তাই নয়, ওই ম্যাচে ব্রাজিলের সুপারস্টার কাফু ও আর্জেন্টিনার সুপারস্টার ক্যানিজি

ঢাকায় ‘বন্দিজীবন’ কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা

লাতিন-বাংলা সুপার কাপ নামের একটি বিতর্কিত প্রতিযোগিতায় খেলতে এসে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার একঝাঁক তরুণ ফুটবলারের। আর্জেন্টিনার অ্যাথলেটিকো চার্লোন এফসি, ব্রাজিলের সাও বার্নার্দো ক্লাব এবং বাংলাদেশের তরুণদের নিয়ে গড়া দল নিয়ে বসেছিল এই সুপার কাপ।

তবে সবার নজর ছিল ১১ ডিসেম্বরের ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ক্লাবের ম্যাচে। যদি ওই ম্যাচ বাতিল করতে হয় আয়োজকদের। নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ঢাকা স্টেডিয়াম বরাদ্দ বাতিল করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তাতেই ভন্ডুল হয়ে যায় সব আয়োজন।

অর্থ আয়ের প্রধান ম্যাচটি বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়ে আয়োজক এএফ বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। হোটেল ভাড়া, বিমান ভাড়া দিতে না পারায় ব্রাজিলের ফুটবলাররা নিজেদের ব্যবস্থপনায় দেশে ফিরে গেলেও আর্জেন্টিনার ১৮ জন ফুটবলার আটকা পড়েছিলেন ঢাকা। ১০ দিনের মতো ‘বন্দিজীবন’ পার করে আর্জেন্টিনার তরুণ ফুটবলাররা অবশেষে দেশে ফিরে গেছেন রোববার।

একটা উৎসবমুখর আয়োজনের আভাস ছিল এই সুপার কাপে। যে লেভেলেরই হোক, ঢাকা ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ক্লাব ফুটবল যুদ্ধ। শুধু তাই নয়, ওই ম্যাচে ব্রাজিলের সুপারস্টার কাফু ও আর্জেন্টিনার সুপারস্টার ক্যানিজিয়ার উপস্থিতির খবর প্রচার করায় চারদিকে টুর্নামেন্ট নিয়ে পড়েছিল হৈচৈ।

তবে আয়োজন নিয়ে বিশাল একটা শুভঙ্করের ফাঁকি ছিল। মাঠ বরাদ্দ নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাথে ঝামেলা, আয়োজকদের ভাড়া করা বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে এক সাংবাদিককে মারধর করে বিতর্ক তৈরির পর আয়োজনই বাতিল করতে হয়েছিল।

আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের একটা অংশ আগেই ফিরতে পেরেছিল। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আয়োজকরা শেষ অংশকে আর্জেন্টিনার বিমানে তুলে দিতে পেরেছে রোববার। দুই দেশের ফুটবলাররা চলে গেলেও রয়ে গেছে টুর্নামেন্ট চলাকালীন এবং পরবর্তী সময়ে ঘটে যাওয়া অনিয়মের ঝাপ।

আর্জেন্টাইন এই তরুণদের দেশে ফেরার কথা ছিল ১৩ ডিসেম্বর। তবে বিমান টিকিট ও হোটেল বিল পরিশোধ না হওয়ায় তাদের ঢাকাতেই থাকতে হয়েছে। অনিশ্চিত কয়েকদিন কাটিয়েছেন তারা অচেনা শহর ঢাকায়।

ঢাকাস্থ আর্জেন্টিনা দূতাবাসের লোকজন ফুটবলারদের দামি হোটেল থেকে বের করে তাদের ব্যবস্থাপনায় রেখেছিলেন শেষ কয়েকটি দিন। এই তরুণ ফুটবলাররা জীবনে এমন কথা হয়তো শোনেননি। আর নিজেরাও এমন অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচিত নন। এসব ঘটনা আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশকে লজ্জার মুখেই ফেলেছে।

আরআই/এমএমআর

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow