ঢাকায় সুইস দূতাবাসের আয়োজনে জলবায়ু উদযাপন উৎসব

20 hours ago 6

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো জলবায়ু, সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতার এক অনন্য মিলনমেলা। সুইস দূতাবাস আয়োজিত দিনব্যাপী উৎসব ‘বায়োফিলিয়া: মানুষ, জলবায়ু ও সংস্কৃতির পুনঃসংযোগ’-এ উঠে এলো স্থানীয় পর্যায়ের উদ্যোগ ও সংস্কৃতির শক্তি, যা জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আশা জাগাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত অনুষ্ঠানটি ছিল সুইস সমর্থিত ক্লাইমেট অ্যাকশন অ্যাট লোকাল লেভেল কর্মসূচির অংশ, যেখানে নয়টি সুইস এনজিও ও ১৮টি স্থানীয় সংগঠন অংশীদার হিসেবে কাজ করছে।

উদ্বোধনী অধিবেশনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বদ্বীপ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। আমাদের জনগণ দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থিতিস্থাপকতা দেখাচ্ছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক সহায়তা ও প্রযুক্তি হস্তান্তর এখনও পর্যাপ্ত নয়।

সুইস দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কোরিন হেনচোজ পিগনানি বলেন, জলবায়ু সংকটের সমাধান শুধু উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং সেই কৃষক, জেলে, নারী ও তরুণদের অভিজ্ঞতায় নিহিত, যারা এরইমধ্যে অভিযোজন করছেন ও নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

দিনব্যাপী উৎসবে সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, জাতিসংঘ সংস্থা, নীতিনির্ধারক, শিল্পী, উদ্ভাবক, শিশু ও তরুণ-তরুণীসহ নানা স্তরের মানুষ অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে ছিল ‘সাউন্ডস অব দ্য সয়েল’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ভিজ্যুয়াল স্টোরিটেলিং, টেকসই কৃষি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উদ্ভাবনের প্রদর্শনী, টেকসই ফ্যাশন শো এবং শিল্প প্রদর্শনী। সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় জলবায়ু সংকট নিয়ে নাটক এবং জলের গানের সঙ্গীত পরিবেশনা।

সমাপনী অধিবেশনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বিকল্প জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি তরুণ সমাজ ও এনজিওগুলোর স্থানীয় সমাধান খুঁজে বের করার ভূমিকার ওপর জোর দেন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজলুল কবির খান জলবায়ু শপথ পাঠ করেন।

অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারসহ উন্নয়ন সহযোগী ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। দিনশেষে সবাই জলবায়ু প্রতিশ্রুতির শপথ নেন এবং স্থানীয় নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করেন।

জেপিআই/এএমএ

Read Entire Article