ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের একটি বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে অভিযোগ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শনিবার কালো দিবস উপলক্ষে টিএসসি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা শেষে উপাচার্য সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেখানে তিনি আসন্ন ডাকসু নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন, যা পরবর্তীতে কয়েকটি গণমাধ্যমে ভুলভাবে প্রকাশিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করার জন্য উপাচার্যের মূল বক্তব্যটি তুলে ধরা হয়েছে।
উপাচার্য বলেছিলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করাটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সবার জন্য একটি ভালো ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ বিষয়ে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে নির্বাচন কমিশন, সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম এবং হল প্রভোস্টরা উপস্থিত থাকছেন।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নিজেদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহ আমাদের আশাবাদী করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে উদ্দীপনা ও আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে তা আমাদের জন্য বড় শক্তি।’
- আরও পড়ুন
- ঢাবি ঐতিহ্যগতভাবেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়: উপাচার্য
- ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে প্রার্থী ৪৮, জিএস পদে ১৯
উপাচার্য এটিকে এককভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দায়িত্ব না বলে একটি সম্মিলিত বা ‘কালেক্টিভ রেসপন্সিবিলিটি’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক নিয়াজ আরও বলেন, ‘এই আয়োজনে যতক্ষণ সবাই আমার হাত ধরবেন, ততক্ষণ আমি মাঠে থাকবো। যেখানে আমার হাত ছেড়ে দেবেন, আমি আপনাদের ডেকে বলে দেবো যে, এই জায়গাতে আমার বাধা হচ্ছে।’
তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে, ‘এটি একটি জাতীয় দায় ও পুরো জাতি এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। সব অংশীজনের সঙ্গে ৭০টিরও বেশি আলোচনার পর এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’
উপাচার্য আরও বলেন, যখন কোনো অংশীজন সমর্থন প্রত্যাহার করবে, তখন তিনি সবাইকে ডেকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করে। একই সঙ্গে সাংবাদিক ও অন্যদের কাছে নিয়মিতভাবে নির্বাচনের হালনাগাদ তথ্য দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়।
এফএআর/এমআইএইচএস