ঢাবিতে ছাত্রদলের উদ্যোগে নবান্ন উৎসব উদযাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে নবান্ন উৎসব-১৪৩২ উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পায়রা চত্বরে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে নবান্ন উৎসবের প্রথম পর্ব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। পরবর্তীতে দলীয় সংগীত পরিবেশনের পর উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তার বক্তব্যের পর লাঠিখেলার মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে। বক্তব্যে রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্রদল কেবল লড়াই-সংগ্রামমুখী একটি সংগঠন নয়; সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার পাশাপাশি তারা গ্রামীণ ঐতিহ্যকে তুলে ধরার ক্ষেত্রেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। নবান্ন উৎসব তারই একটি উদাহরণ। তিনি বলেন, অতীতে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী বাস্তবতায়ও দেখা যাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংগীতসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপাদানকে ইচ্ছাকৃতভাবে দমিয়ে রাখার প্রবণতা তৈরি হয়েছে, যাতে তাদের স্বাভাবিক সাংস্কৃতিক পথে অগ্রগতি ব্যাহত হয়। এসব কর্মকাণ্ড স্পষ্টভাবেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। ছা

ঢাবিতে ছাত্রদলের উদ্যোগে নবান্ন উৎসব উদযাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে নবান্ন উৎসব-১৪৩২ উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পায়রা চত্বরে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে নবান্ন উৎসবের প্রথম পর্ব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। পরবর্তীতে দলীয় সংগীত পরিবেশনের পর উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তার বক্তব্যের পর লাঠিখেলার মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে।

বক্তব্যে রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্রদল কেবল লড়াই-সংগ্রামমুখী একটি সংগঠন নয়; সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার পাশাপাশি তারা গ্রামীণ ঐতিহ্যকে তুলে ধরার ক্ষেত্রেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। নবান্ন উৎসব তারই একটি উদাহরণ।

তিনি বলেন, অতীতে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী বাস্তবতায়ও দেখা যাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংগীতসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপাদানকে ইচ্ছাকৃতভাবে দমিয়ে রাখার প্রবণতা তৈরি হয়েছে, যাতে তাদের স্বাভাবিক সাংস্কৃতিক পথে অগ্রগতি ব্যাহত হয়। এসব কর্মকাণ্ড স্পষ্টভাবেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ছাত্রদল সভাপতি আশা প্রকাশ করেন, অতীতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বেরিয়ে এসে এখন সবাই দেশীয় সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা বিস্তারে এগিয়ে আসবে।

বক্তব্যে রাকিবুল ইসলাম জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে সারা দেশের মাদরাসাগুলোতে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে ছাত্রদল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমাদের সমাজে যে ঐতিহ্যগুলো বহুদিন ধরে প্রচলিত ছিল, সেগুলো আজ নানা কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেওয়া এবং আগামীর জন্য সংরক্ষণ করতে এমন আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ছাত্রদলের উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়ে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর বলেন, যত বেশি এমন কর্মসূচি আয়োজন করা হবে, ততই আমাদের মনের গভীরে থাকা নিজস্ব ঐতিহ্য ও চেতনা আরও দৃঢ় হবে, আরও জাগ্রত থাকবে। ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকে এবং ছাত্রদল এতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে—সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এফএআর/এমএমকে

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow