ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩০০ শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই নারী শিক্ষার্থী ও গুলিবিদ্ধ এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৩ জন বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘অপমানজনক’ দাবি করে রোববার দিনগত রাতে রাস্তায় নেমে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একই সময়ে দেশের অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান।
আরও পড়ুন
- শহীদুল্লাহ হলের সামনে ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ, ঢামেকে ভর্তি
- আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১৫৫
রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দিনভর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের শত শত শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যেই ৩০০ জন চিকিৎসা নেন ঢামেক হাসপাতালে।
এদিন, বিকেল ৪টার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ঢাকা মেডিকেলে আসতে থাকেন সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীরা। রাত ১০টা নাগাদ ৩০০ জনকে চিকিৎসা দেওয়ার হিসাব পাওয়া যায়।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বিকেল ৩টায় হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর দুপক্ষই ইট-পাটকেল লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উত্তপ্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। পরে ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে প্রবেশ করেন। যোগ দেন ঢাকা কলেজসহ ছাত্রলীগের আরও ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন
- কোটা আন্দোলনকারীরা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে শক্ত হাতে দমন
- আন্দোলনকারীদের রাজাকার স্লোগানের জবাব ছাত্রলীগই দেবে: কাদের
বিকেল ৬টার দিকে শহীদুল্লাহ হলের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সেখানে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। ওই সংঘর্ষে নিউ মার্কেট থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল হাসান ফাহাদ (২৭) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনিও বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
কাজী আল-আমিন/এমকেআর