ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে এই দুজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
আটক শিক্ষার্থীরা হলেন, হল ছাত্রলীগের সাবেক উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের জালাল আহমেদ এবং মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের মোহাম্মদ সুমন।
- যেভাবে নির্যাতন করে মারা হয় মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জলকে
- ঢাবির হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
- জাবিতে গণপিটুনির শিকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মারা গেছেন
এর আগে এ ঘটনায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ।
মামলার এজাহারে মোহাম্মদ আমানুল্লাহ উল্লেখ করেন, ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার সময় একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান। মোবাইল চুরির অভিযোগ করে তারা ওই যুবককে এলোপাতাড়ি চর-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ান। এরপর তাকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
নির্যাতনের ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তোফাজ্জলকে নির্মম নির্যাতন করে শরীর থেকে মাংস খুলে নেয় নির্যাতনকারীরা। তোফাজ্জলের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নে।
এমএইচএ/এমএইচআর/জেআইএম