ঢাবির মুহসীন হলে আজান নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

2 hours ago 1

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে আজান নিষিদ্ধ ছিল বলে ধর্মীয় বক্তা আমির হামজার দেওয়া বক্তব্যের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একদল শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হামজার বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য হল প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হল প্রশাসনের কাছে প্রতিবাদলিপি জমা দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় মুহসীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুজর গিফারী ইফাত, সদস্যসচিব মনসুর রাফি, যুগ্ম আহ্বায়ক মহিবুল ইসলাম আকন্দ, মো. জনি প্রমাণিক, মোয়াজ শাহরিয়ায়সহ কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

হল ছাত্রদলের সদস্যসচিব মনসুর প্রতিবাদলিপি পড়ে শোনান। তিনি বলেন, মুহসীন হলের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই ধর্মপ্রাণ এবং নিয়মিত হল মসজিদে আজান শুনে নামাজ আদায় করে আসছেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে আমরা দেখতে পাচ্ছি আমির হামজা নামের এক বক্তা ও জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী দাবি করছেন, ছাত্রশিবির ডাকসুতে জয়ের আগে মুহসীন হলে আজান দেওয়া নিষিদ্ধ ছিল। এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট দাবি। আমাদের আবাসিক হলের ব্যাপারে এমন জঘন্য মিথ্য বক্তব্য আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে ও মুহসীন হলের শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে শ্রোতাদের মনে ভুল ধারণা তৈরি হয়।

আরও পড়ুন
মব হামলার বিচার চেয়ে ঢাবি প্রশাসনকে জ্বালাময়ী জালালের নোটিশ
একদিনে ১০০ চৌকি বণ্টন করলো মুহসীন হল ছাত্র সংসদ
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ঢাবি শিক্ষার্থী, একদিন পর মৃত্যু

মনসুর বলেন, আমরা মুহসীন হলের শিক্ষার্থীরা এমন অসত্য, বানোয়াট ও মিথ্যায় পরিপূর্ণ ধর্মের মোড়কে রাজনৈতিক বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নোংরা এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি মুহসীন হলের শিক্ষার্থীরা দেশবাসীকে ধর্মের নামে মিথ্যাচার ও অপরাজনীতি করা গোষ্ঠী থেকে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানায়। ইতিপূর্বে হলের ১০০ শিক্ষার্থীদের জন্য শিবির বেডের ব্যবস্থা করেছে- এমন মিথ্যাচারও প্রচার করতে দেখেছি আমরা। যা কখনোই কাম্য নয়।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, নোংরা ও মিথ্যা বক্তব্যের জন্য আমির হামজাকে অবশ্যই প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। সেজন্য হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মিথ্যাচারের নিন্দা জানানো এবং আমির হামজাকে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

এফএআর/একিউএফ/এমএস

Read Entire Article