ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাসুদ রানা নামে এক শিক্ষার্থীর মাথায় ছাদের পলেস্তারা পড়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে তার মাথা ফেটে গেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাত দেড়টায় মুহসীন হলের ২০৪নং কক্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় ২০১৮-১৯ সেশনের এ শিক্ষার্থীর মাথায় পলেস্তারা ভেঙে পড়ে।
এ ঘটনার পর রাত আড়াইটার দিকে নিরাপদ আবাসিক হল স্থাপনের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান করেও স্লোগান দেন তারা।
মাহবুব তালুকদার নামে এক ঢাবি শিক্ষার্থী বলেন, মুহসীন হলের মাসুদ রানা ২০৪ নাম্বার রুমে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। রাত দেড়টায় ছাদ খসে বড় একটি টুকরা তার মাথায় পড়ে। ঢামেকে ইমার্জেন্সি সিটি স্ক্যান করালে আপাতত আশঙ্কামুক্ত বলেছে ডাক্তার।
এ শিক্ষার্থী আরও বলেন, তাহলে মৃত্যু ব্যতীত কি আমাদের প্রশাসন পরিবর্তন হবে না? উন্নত আবাসন ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক নিরাপত্তায় প্রশাসন এত উদাসীন কেন? তারা তো শিক্ষক,কর্মকর্তার-কর্মচারীর ব্যাপারে উদাসীন নয়!
হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের শিক্ষার্থী রাফিদ হাসান সাফওয়ান বলেন, আপনি ঘুমাতে গেলেন আর আপনার মাথায় এত বড় আকারের একটা পলেস্তারা খসে পড়ল। কল্পনা করা যায়? আমাদের মুহসীন হলে এটা শুধু ইমাজিনেশন না, প্রতিদিনের বাস্তবতা।
এ বিষয়ে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান কালবেলাকে বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনায় আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ঘটনার পর আমি এবং হাউজ টিউটররা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলাম। আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মশারি না থাকলে হয়তো তার অবস্থা আরও গুরুতর হয়ে যেত, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা রহম করেছেন। আমি নতুন প্রাধ্যক্ষ হয়েছি। আমি আমার জায়গা থেকে হলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করার চেষ্টা করছি, শিক্ষার্থীরাও আমাকে সহযোগিতা করছে।
তিনি আরও বলেন, মুহসীন হলের ভবনটা আসলে ঝুঁকিপূর্ণ। এ ভবন সংস্কারের চেয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করা বেশি জরুরি। এ ব্যাপারে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি।