ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ও দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের সামনে বিভিন্ন হলে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে স্মৃতি চিরন্তনে এসে রাত সাড়ে ১১টায় মিছিল শেষ হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকা সমন্বয়ক ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আফিয়া রেমিজা বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে কোনো ছাত্ররাজনীতি চাই না। আমরা চাই দলীয় লেজুড়বৃত্তি রাজনীতিমুক্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয়। আগের ঢাবি কখনোই আমরা প্রত্যাশা করি না, আমরা চাই একটি নতুন ও প্রত্যাশিত শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের নয় দফার মধ্যে অন্যতম সাত নম্বর দফাটিই ছিল ছাত্ররাজনীতি নিয়ে কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই দাবির কোনো বাস্তবায়ন নেই। জুলাই অভ্যুত্থানের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই ছাত্ররাজনীতি বন্ধের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। আমরা বিভাগ ও হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি চাই না। আমাদের প্রত্যাশা একটি লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস। ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নেই! আমরা অবিলম্বে ডাকসু চাই।
আরেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের অবিলম্বে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতি ধোঁয়াশার মধ্যে না রেখে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
এমএইচএ/এমআরএম