ঢামেক হাসপাতালে ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি, দুর্ভোগে বিপুলসংখ্যক রোগী
চাকরি একাদশ থেকে দশম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। রোববার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলে। এসময় জরুরি বিভাগে সীমিত পরিসরে সেবাদান চললেও অন্যান্য ইউনিটে নানা পরীক্ষার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এতে দুর্ভোগে পড়েন বিপুলসংখ্যক রোগী ও তাদের স্বজনরা। পাশাপাশি রোগীদের জন্য বিনা মূল্যে ওষুধ সরবরাহের মেডিসিন স্টোরের ফটকও বন্ধ রাখা হয়। যেখানে ভিড় ও ভোগান্তি ছিল সবচেয়ে বেশি। সরেজমিনে দেখা যায়, রেডিওলোজি বিভাগে পরীক্ষা করাতে না পেরে অনেক রোগী ও তাদের স্বজনরা বারান্দা ও করিডোরে অপেক্ষা করছিলেন। অপেক্ষমাণ রোগী ফোরকান উদ্দিনের ছেলে মো. আসলাম বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে এক্স-রে কক্ষের সামনে আছি। কেউ আসেনি। কবে রুম খুলবে জানি না।’ রাজন মিয়া নামে আরেক রোগী বলেন, ‘এক্স-রে করতে এসে দেখি সব বন্ধ। পরে জানলাম দায়িত্বে থাকা কর্মীরা আন্দোলন করছেন।’ অন্যদিকে, কর্মবিরতিকালে মেডিসিন স্টোরের সামনে ছিল ওষুধ নিতে আসা রোগীদের দীর্ঘ লাইন। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা রহিমা বেগম বলেন, ‘সকালে ডাক্তার কিছু ওষুধ দিয়ে
চাকরি একাদশ থেকে দশম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। রোববার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলে।
এসময় জরুরি বিভাগে সীমিত পরিসরে সেবাদান চললেও অন্যান্য ইউনিটে নানা পরীক্ষার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এতে দুর্ভোগে পড়েন বিপুলসংখ্যক রোগী ও তাদের স্বজনরা। পাশাপাশি রোগীদের জন্য বিনা মূল্যে ওষুধ সরবরাহের মেডিসিন স্টোরের ফটকও বন্ধ রাখা হয়। যেখানে ভিড় ও ভোগান্তি ছিল সবচেয়ে বেশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, রেডিওলোজি বিভাগে পরীক্ষা করাতে না পেরে অনেক রোগী ও তাদের স্বজনরা বারান্দা ও করিডোরে অপেক্ষা করছিলেন। অপেক্ষমাণ রোগী ফোরকান উদ্দিনের ছেলে মো. আসলাম বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে এক্স-রে কক্ষের সামনে আছি। কেউ আসেনি। কবে রুম খুলবে জানি না।’
রাজন মিয়া নামে আরেক রোগী বলেন, ‘এক্স-রে করতে এসে দেখি সব বন্ধ। পরে জানলাম দায়িত্বে থাকা কর্মীরা আন্দোলন করছেন।’
অন্যদিকে, কর্মবিরতিকালে মেডিসিন স্টোরের সামনে ছিল ওষুধ নিতে আসা রোগীদের দীর্ঘ লাইন। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা রহিমা বেগম বলেন, ‘সকালে ডাক্তার কিছু ওষুধ দিয়েছেন। দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি, কিন্তু ওষুধ পাইনি।’
দাবির বিষয়ে কথা হলে বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খাজা মাঈন উদ্দিন মঞ্জু জানান, তাদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন। নিয়মতান্ত্রিকভাবে দাবি উত্থাপন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেওয়া সত্ত্বেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বিষয়টি বারবার আটকে যাচ্ছে।
মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা এরই মধ্যে একাদশ থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত হয়েছেন। কিন্তু আমাদের বিষয়ে অযথা সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে ৩ তারিখ অর্ধদিবস ও ৪ তারিখ থেকে পূর্ণ শাটডাউন পালন করা হবে।‘
কাজী আল-আমিন/একিউএফ/জেআইএম
What's Your Reaction?