ঢামেকে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ৬ নবজাতকের চারজনের মৃত্যু

22 hours ago 3

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ছয় নবজাতকের মধ্যে একে একে চারজনেরই মৃত্যু হয়েছে। এখনো জীবিত আছে দুই নবজাতক।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢামেকের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) চিকিৎসাধীন এক নবজাতক ছেলে মারা যায়। এদিন দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর নীলক্ষেতের হোমকেয়ার নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নবজাতক কন্যা মারা যায়। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের এনআইসিইউ-তে থাকা আরও দুইজন ছেলে নবজাতক মারা যায়।

নবজাতকদের ফুপু ফারজানা আক্তার জানান, গত রাতে বেসরকারি হাসপাতালে থাকা এক মেয়ে বাচ্চা মারা গেছে। আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢামেক থাকা দুই ছেলে নবজাতক মারা গেছে। এর আগে, রোববার সন্ধ্যায় ঢামেকের এনআইসিইউ-তে থাকা ছেলে নবজাতকটি মারা যায়। এই নিয়ে চার নবজাতকের মৃত্যু হলো। এখন বেসরকারি হাসপাতালে দুই মেয়ে জীবিত রয়েছে। তারা এনআইসিইউ-তে আছে।

আরও পড়ুন

তিনি আরও জানান, রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে নোয়াখালীর সেনবাগের বাসিন্দা মোকসেদা আক্তার প্রিয়া (২৩) ঢাকা মেডিকেলের গাইনি বিভাগে লেবার ওয়ার্ডে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পরপরই তিন নবজাতককে ঢামেকের এনআইসিইউ-তে এবং বাকি তিনজনকে হোমকেয়ার নামের বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়।

ঢামেক গাইনি বিভাগের ইউনিট-১ এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবিদা সুলতানা বলেন, শনিবার রাতে প্রিয়া হাসপাতালে ভর্তি হন এবং পরদিন সকালে ছয় সন্তানের জন্ম দেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এটি পূর্ণাঙ্গ প্রসব নয়। বরং ২৭ সপ্তাহে ইনএবিটেবল অ্যাবরশন।

তিনি জানান, নবজাতকদের মধ্যে তিনজনের ওজন প্রায় ৯০০ গ্রাম এবং বাকি তিনজনের ওজন ৮০০ গ্রাম ছিল। দেশে সাধারণভাবে ২৮ সপ্তাহকে ‘ভায়াবল এইজ’ ধরা হয়। প্রিয়ার ক্ষেত্রে প্রসব হয়ে গেছে তার আগেই। উন্নত চিকিৎসায় ভাগ্যে থাকলে কিছু শিশু বেঁচে যেতে পারে।

কাজী আল-আমিন/এএমএ/এমএস

Read Entire Article