ঢামেকে শিশু পাচারকারী চক্রের দুই নারী সদস্য আটক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে শিশু পাচারকালে দুই নারীকে আটক করেছে আনসার সদস্যরা। তারা হলেন মোছা. নাহার বেগম (৪৭) ও মোছা. হাসিনা বেগম (৩৮)। পরে ওই দুই নারীকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ঢামেক হাসপাতালের ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে থেকে ওই দুই নারীকে আটক করে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। ঢামেক হাসপাতালের আনসার প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) আলমগীর হোসেন জানান, ১০৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এক ছেলে শিশুকে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই নারীকে আটক করেন আনসার সদস্যরা। জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুই নারী জানান, ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই শিশুটিকে অন্য জায়গায় নিয়ে বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিলেন তারা। পরে কমিলা বেগম নামের এক নারীর সঙ্গে ৫০ হাজার টাকায় চুক্তি করে সুকৌশলে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু আনসার সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন। আলমগীর হোসেন আরও জানান, আটক দুই নারী জানিয়েছেন, তারা বিভিন্ন সময় অসহায় নারীদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বাচ্চাকে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। তারা শিশু পাচার ও শিশু ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। পরে দুই নারীকে শাহবাগ থানা পুল

ঢামেকে শিশু পাচারকারী চক্রের দুই নারী সদস্য আটক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে শিশু পাচারকালে দুই নারীকে আটক করেছে আনসার সদস্যরা। তারা হলেন মোছা. নাহার বেগম (৪৭) ও মোছা. হাসিনা বেগম (৩৮)। পরে ওই দুই নারীকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ঢামেক হাসপাতালের ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে থেকে ওই দুই নারীকে আটক করে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা।

ঢামেক হাসপাতালের আনসার প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) আলমগীর হোসেন জানান, ১০৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এক ছেলে শিশুকে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই নারীকে আটক করেন আনসার সদস্যরা। জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুই নারী জানান, ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই শিশুটিকে অন্য জায়গায় নিয়ে বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিলেন তারা। পরে কমিলা বেগম নামের এক নারীর সঙ্গে ৫০ হাজার টাকায় চুক্তি করে সুকৌশলে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু আনসার সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন।

আলমগীর হোসেন আরও জানান, আটক দুই নারী জানিয়েছেন, তারা বিভিন্ন সময় অসহায় নারীদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বাচ্চাকে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। তারা শিশু পাচার ও শিশু ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। পরে দুই নারীকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৯ নভেম্বর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন কমিলা বেগম।

আটক নাহারের ছেলে ফাহিম বলেন, ‘শিশুটির মা কামিলা গরীব। বাসায় রেখে তার দেখাশোনা করাই। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, তার জরায়ুতে একটি সিস্ট হয়েছিল। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আমরা ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করি। আমার মা ও খালা শিশু পাচারকারী চক্রের সদস্য নয়। ওই নারীকে সাহায্য করতে এসেই তাদের ফাঁসানো হয়েছে।’ গাজীপুরের টঙ্গীতে ‘নাহার মেডিকেল সেন্টার’ নামে তাদের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলেও জানান ফাহিম।

কাজী আল আমিন/এমএমকে

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow