তরুণ সৃজনশীলতার ঝলক প্রথম দিনে
দেশের তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতা, স্থানীয় ঐতিহ্য এবং কারুশিল্পকে একত্র করে শুরু হয়েছে আর্কা ফ্যাশন উইক। গতকাল ৫ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের আলোকি কনভেনশন সেন্টারে এ আয়োজন চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে এ উৎসব। গতকাল প্রথম দিন থেকেই ভেন্যু জমে উঠেছে নান্দনিক আয়োজনে। প্রতিদিন নতুন রং, নতুন আবেগ এবং নতুন গল্প নিয়ে দর্শকদের মন জিতে নিচ্ছে আয়োজনটি। ভেন্যুর প্রধান তিন অংশ প্রতিবারের মতো এবারও ভেন্যুকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছে, ডিজাইন ল্যাব, মার্কেটপ্লেস এবং ফুড জোন। মূল গেট দিয়ে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে বাইরের মার্কেটপ্লেস, যা কাচের ছাদ দেওয়া গ্রিনহাউসে সজ্জিত। মূল হলে সাজানো হয়েছে ফ্যাশন শো এবং কনসার্টের আয়োজন, আর এর দোতলায় রয়েছে নানা ধরনের খাবারের স্টল, যা ফুড জোনের প্রাণবন্ত পরিবেশ উপস্থাপন করছে। জামদানির ঐতিহ্যে ভরা আয়োজনএবারের আর্কা ফ্যাশন উইক পুরো আয়োজন সাজানো হয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্য জামদানিকে কেন্দ্র করে। ভেন্যুর প্রতিটি কোণজুড়ে ফুটে উঠেছে জামদানির বিভিন্ন মোটিফ, গল্প এবং কারুশিল্পের নকশার ছাপ। এছাড়া ব্র্যান্ডিং, ভিজ্যুয়াল আইডেনটি
দেশের তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতা, স্থানীয় ঐতিহ্য এবং কারুশিল্পকে একত্র করে শুরু হয়েছে আর্কা ফ্যাশন উইক। গতকাল ৫ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের আলোকি কনভেনশন সেন্টারে এ আয়োজন চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে এ উৎসব।
গতকাল প্রথম দিন থেকেই ভেন্যু জমে উঠেছে নান্দনিক আয়োজনে। প্রতিদিন নতুন রং, নতুন আবেগ এবং নতুন গল্প নিয়ে দর্শকদের মন জিতে নিচ্ছে আয়োজনটি।
ভেন্যুর প্রধান তিন অংশ
প্রতিবারের মতো এবারও ভেন্যুকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছে, ডিজাইন ল্যাব, মার্কেটপ্লেস এবং ফুড জোন। মূল গেট দিয়ে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে বাইরের মার্কেটপ্লেস, যা কাচের ছাদ দেওয়া গ্রিনহাউসে সজ্জিত। মূল হলে সাজানো হয়েছে ফ্যাশন শো এবং কনসার্টের আয়োজন, আর এর দোতলায় রয়েছে নানা ধরনের খাবারের স্টল, যা ফুড জোনের প্রাণবন্ত পরিবেশ উপস্থাপন করছে।
জামদানির ঐতিহ্যে ভরা আয়োজন
এবারের আর্কা ফ্যাশন উইক পুরো আয়োজন সাজানো হয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্য জামদানিকে কেন্দ্র করে। ভেন্যুর প্রতিটি কোণজুড়ে ফুটে উঠেছে জামদানির বিভিন্ন মোটিফ, গল্প এবং কারুশিল্পের নকশার ছাপ। এছাড়া ব্র্যান্ডিং, ভিজ্যুয়াল আইডেনটিটি এবং ভেন্যুর সজ্জা সব জায়গাতেই প্রতিফলিত হয়েছে জামদানির ইতিহাস এবং নান্দনিকতা। স্টুডেন্ট রানওয়ে থেকে শুরু করে মূল শো পর্যন্ত, প্রতিটি মুহূর্তে ধরা দিয়েছে ঐতিহ্যের অপরূপ সৌন্দর্য এবং তরুণ সৃজনশীলতার ছোঁয়া।
এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ ফ্যাশন শো, যেখানকার রানওয়েতে শীর্ষ ডিজাইনার ও ব্র্যান্ডের কালেকশন দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রথম দিনের থিম ছিল ‘মডার্ন’। আধুনিকতার ছোঁয়ায় সাজানো এই রানওয়েতে অংশ নিয়েছে পৌষ, কাঁঠাল, ডানিয়া, রানাউ, গ্রীষ্ম, রয়েল বাংলাসহ বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড।
মার্কেটপ্লেসে দেশীয় অনলাইনভিত্তিক ব্র্যান্ড, তরুণ উদ্যোক্তা ও কারুশিল্পীরা তুলে ধরেছেন পোশাক, গয়না, টোট ব্যাগ, সানগ্লাস, ঘর সাজানোর সামগ্রীসহ নানা পণ্য। বাইরের মার্কেটপ্লেসে দেখা গেছে আমি ঢাকা, ডেয়ারিং, লিলিথ, জুরাহ, অ্যাডর্ন অ্যান্ড কো, এলাকা, ফোমোসহ নানা ব্র্যান্ড।
গ্লাসহাউজ অংশে আছে বৈচিত্র্যময় ব্র্যান্ড অ্যাক্রিলিক গিক, ফ্ল্যাপি ক্লাউডস, মুজার চর, আনিকো, স্যাফায়ার জুয়েলস, ঢাকা ওয়েস্ট কালেকটিভ, সো কল্ড আর্টিস্ট, ডালিম অ্যান্ড কো, গ্লুড টুগেদার, ট্যারোটেল, সুহা জুয়েলারি, ঢেউ, ঢাকা ওয়েস্ট কালেকটিভ, স্পার্কলিং বাই তানুসহ আরও ব্র্যান্ড। বেলা বেড়ে বিকেল গড়াতেই মার্কেটপ্লেস বেশ জমে উঠেছে।
কারুশিল্পীদের লাইভ ওয়ার্ক: ঐতিহ্যের ছোঁয়া চোখের সামনে
বিশেষ আকর্ষণ কারুশিল্পীদের লাইভ ওয়ার্ক। দর্শকদের সামনেই তারা তৈরি করছেন বিভিন্ন পণ্য, যা ঐতিহ্যের সরাসরি সাক্ষ্য।
আড়ংয়ের ছয়জন কারিগর হাতেকলমে দেখাচ্ছেন সূচিশিল্প, ব্লক প্রিন্টিং, বয়ন এবং নিডলওয়ার্কসহ নানা ঐতিহ্যবাহী কাজ। দর্শকদের সামনেই ঐতিহ্যের সূক্ষ্মতা ও সৌন্দর্য তুলে ধরা হচ্ছে।
ফ্ল্যাশ রানওয়ে: দর্শক ও অতিথিদের মধ্যেই মডেল নির্বাচনের চমক
এ দিনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল ফ্ল্যাশ রানওয়ে। এই ফ্যাশন উৎসবে মডার্ন থিমের লুক অনুযায়ী মডেল নির্বাচন করা হয় আগত দর্শক ও অতিথিদের মধ্য থেকেই।
ফ্যাশন রানওয়ে প্রতিদিন থিম অনুযায়ী চলবে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অংশগ্রহণ করতে পারবেন ফ্যাশনপ্রেমীরা। এছাড়া আর্কার ইনস্টাগ্রামে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে ফ্ল্যাশ রানওয়ের সেরা মডেল।
ফুড জোন ও সন্ধ্যার কনসার্ট: আর্কা ফ্যাশনের স্বাদ ও সুর
দোতলায় সাজানো হয়েছে ফুডকোর্ট, যেখানে রয়েছে ওয়াফল আপ, অ্যারাবিকা, জাস্ট জুস, কড়া ফ্রাই, শর্মা দামাস্কো, টেকআউট, চোখ, গ্র্যাব আ র্যাপসহ অনেক ব্র্যান্ড। ওয়াফল, কুকিজ, ডেজার্ট, শর্মা, পিৎজা, মানচিজ, মাচাকফি, জুস সব ধরণের সুস্বাদু খাবারের আয়োজন ভিড়কে আকর্ষণ করছে।
টানা তিন দিন রাত ৮টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে সন্ধ্যার কনসার্ট, যা দর্শকরা সুলভ মূল্যে টিকিট কেটে উপভোগ করতে পারবেন। নিজের পছন্দের সুর ও পরিবেশের সঙ্গে মিলিয়ে এটি হবে ফ্যাশন উইকের আরেকটি হাইলাইট।
আজকের থিম হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে ‘হেরিটেজ’। থিম অনুযায়ী ট্রেন্ডি পোশাক পরে যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং ফ্যাশনের সঙ্গে ঐতিহ্যের মেলবন্ধন উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
আত্মবিশ্বাস যখন ফ্যাশন হয়ে ওঠে
পর্দার বাইরেও আলো ছড়ান এই স্টাইল কুইন
এসএকেওয়াই/আরএমডি
What's Your Reaction?