দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, এরপরে যে নির্বাচিত সরকার আসবে সেই সরকারের প্রতি আমার একটি আহ্বান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যদি রক্ষা করতে হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের তরুণদের জন্যে আবশ্যকীয় মিলিটারি ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। তরুণেরা দেখিয়েছে, তারা বুলেটকে ভয় পায় না। আবু সাঈদ দেখিয়েছে যে বুলেটের সামনে কীভাবে দুই হাত প্রসারিত করে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা যায়। সেই তরুণ সমাজকে যদি আমরা মিলিটারি ট্রেনিং দিতে পারি, তাহলে আমি মনে করি আল্লাহর রহমতে এমন শক্তি নাই যারা ১৮ কোটি মুসলমানের দেশকে পদানত করতে সক্ষম।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জুলাই বিপ্লবের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লব এদেশে নিম্ন-মধ্যবিত্ত, চাকরিজীবী-ছাত্রসহ খেটে খাওয়া মানুষের বিপ্লব। শুধু মাত্র ফ্যাসিস্ট এবং ভারতীয় দালাল শ্রেণি ব্যতীত বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণ এই বিপ্লবের অংশীদার। এটা যেন আমরা কখনো ভুলে না যাই। আপনারা যদি শহীদদের তালিকাও দেখেন তার মধ্যে একটা বিশাল অংশ হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ কর্মজীবী মানুষ, শ্রমিক, রিকশাচালক। এই বিপ্লবকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, না হলে একসময় জনগণ ভুলে যায় বিপ্লবের কথা।
মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, এ বিপ্লবের জন্য দুটো থ্রেট আসছে? একটা হলো অভ্যন্তরীণ। সেগুলো আসছে আমাদের সমাজব্যবস্থার মধ্যে কিংবা রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্যে বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনে যে ফ্যাসিবাদের দালাল এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের দালালদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে তাদের মধ্য থেকে। এ ব্যাপারে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। কেবল এই বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে যে সমস্ত ফ্যাসিবাদের দোসর কিংবা ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের দালালরা আছে তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের চিহ্নিত করা আমাদের সকলের কর্তব্য।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইরফান উল্লাহ/এফএ/এএসএম