তাওয়াফের সময় নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া যাবে?

5 months ago 104

মসজিদুল হারামে তাওয়াফকারীগণ নামাজ আদায়কারীদের সিজদার জায়গা মাড়াবেন না। তবে সিজদার জায়গার সামনে দিয়ে যেতে পারবেন যেমন একজন নামাজরত ব্যক্তি অন্য নামাজরত ব্যক্তির সামনে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে পারেন।

তাওয়াফকারী নামাজ আদায়কারীর মতোই। নবিজি (সা.) তাওয়াফকে নামাজের সাথে তুলনা করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, বাইতুল্লাহর চারদিকে তাওয়াফ করা নামাজ আদায় করার মতই। তবে নামাজে আপনারা কথা বলতে পারেন না, কিন্তু তাওয়াফের সময় কথা বলতে পারেন। তাই তাওয়াফের সময় সময় কথা বললে শুধু ভাল কথাই বলুন। (সুনানে তিরমিজি: ৯৬০)

সাধারণ অবস্থায় নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া গুনাহের কাজ। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী যদি জানত এ কারণ তার কেমন শাস্তি ভোগের আশংকা রয়েছে, তবে চল্লিশ পর্যন্ত ঠায় দাঁড়িয়ে থাকাও ভালো মনে করতো। বর্ণনাকারী আবুন নাযর বলেন, আমার জানা নেই, হাদিসে চল্লিশের কী অর্থ, চল্লিশ দিন, চল্লিশ মাস, নাকি চল্লিশ বছর! ( সহিহ বুখারি: ৫১০, সহিহ মুসলিম: ৫০৭)

সামনে দিয়ে অতিক্রম করার প্রয়োজন হতে পারে এমন জায়গায় নামাজে দাঁড়ালে নামাজির কর্তব্য হলো সামনে সুতরা অর্থাৎ এক হাত বা তার চেয়ে উঁচু কোনো বস্তু নামাজে দাঁড়ানো। মানুষ চলাফেরা করতে পারে, এমন স্থানে সুতরা না রেখে নামাজ পড়া গুনাহের কাজ। নামাজরত ব্যক্তির সামনে সুতরা থাকলে তার সামনে দিয়ে যাতায়াত করা যায়। বিনা সুতরায় নামাজ পড়লে কেউ সামনে দিয়ে গেলে নামাজ নষ্ট হয় না, কিন্তু নামাজের ক্ষতি হয়।

নামাজরত ব্যক্তির সামনে যদি সুতরা না থাকে এবং মসজিদ বেশ বড় ও প্রশস্ত হয়, তাহলে তার দুই কাতার সামনে দিয়ে যাওয়া যাবে। এ ছাড়া নামজরত ব্যক্তির সামনে সুতরা দিয়েও অতিক্রম করা যাবে। এক হাত বা তার চেয়ে দীর্ঘ যে কোনো বস্তু যেমন, চেয়ার, টুল ও কাঠের স্ট্যান্ড ইত্যাদি সুতরা হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

ওএফএফ/জিকেএস

Read Entire Article