তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়তে ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মচারীকে পুরস্কার

1 month ago 14

ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে পুরস্কৃত করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর রেল ভবনে ‘বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্যোগে এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিনিয়র তথ্য অফিসার) রেজাউল করিম সিদ্দিকী এই তথ্য জানিয়েছেন।

এতে ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে রেল স্টেশনে তামাক সচেতনতা ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য আরএনবি ও জিআরপি (পুলিশ) এবং রেলওয়ের ২২ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সম্মাননা পদক ২০২৫ দেওয়া হয়।

এই স্বীকৃতির মাধ্যমে রেলওয়ে কর্মীদের উৎসাহিত করে দেশের সব স্টেশন ও ট্রেনকে ধূমপান ও তামাকমুক্ত করার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন-রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বাজেট অধিশাখা) মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক ট্রাফিক (পরিবহন) মো. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক (টিসি) মো. আনসার আলী, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী) গৌতম কুমার কুণ্ডু, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (লালমনিরহাট) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ রেলওয়ের এডিসিও (চট্টগ্রাম) ফারহান মাহমুদ, রেলওয়ের এসিও-১ (ঢাকা) মোহাম্মদ আমিনুল হকসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ’ শীর্ষক প্রকল্পের বেজলাইন ও এন্ডলাইন সার্ভের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন ও এর বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্ক এর নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা/কর্মচারীরা এতে অংশ নেন।

ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার যাত্রীসেবার মানের ওপর যেসব নেতিবাচক প্রভাব ফেলে অনুষ্ঠানে তার বিস্তারিত আলোচনা করেন তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের অপব্যবহার রোধে ভূমিকা পালনকারী সাবেক ও বর্তমান সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তারা। তারা রেলওয়ের প্রতিটি স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনে ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, কঠোর নজরদারি এবং আইন প্রয়োগের পাশাপাশি যাত্রী ও কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক আচরণ গড়ে তোলার ওপর তারা গুরুত্বারোপ করেন।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, রেলপথ জনগণের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়। তাই ধূমপানমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে আমরা কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখাবো না।

অনুষ্ঠানে সব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও উপস্থিত অতিথিরা ধূমপান ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এনএস/এএমএ/জেআইএম

Read Entire Article