তামাকের শ্রেণিভুক্তি নিয়ে পরিবেশ আইন সংশোধনের দাবি

3 months ago 61

পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালায় তামাক সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে লাল শ্রেণির পরিবর্তে তুলনামূলভাবে কম ক্ষতিকর কমলা শ্রেণিভূক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে তামাকের ক্ষতি সম্বন্ধে একটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে এবং কোম্পানিগুলো অধিকতর ব্যবসায়িক সুবিধা গ্রহণের সুযোগ পাবে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-২০২৩ পুনরায় সংশোধন করে তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে লাল তালিকাভুক্ত রাখার দাবি উঠেছে।

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসকে কেন্দ্র করে পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলন (পবা), বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা), তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট’র সম্মিলিত উদ্যোগে পরিবেশ আইন প্রয়োগের সীমাবদ্ধতা ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানিয়েছেন।

৩০ মে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মূল প্রবন্ধে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ এ তামাক কোম্পানিকে লাল শ্রেণি থেকে সরিয়ে এনে কমলা শ্রেণিভুক্তকরণ তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় এবং নানাবিধ ইতিবাচক পদক্ষেপকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে পরিবেশ দূষণকারী একটি তামাক কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণ করে চলেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তামাক কোম্পানিগুলোকে শহরের মাঝখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কারখানার জায়গাগুলোতে গড়ে তোলা হচ্ছে স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ। ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য সরকারের যখন এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন সে মুহূর্তে তামাক কোম্পানিকে এ ধরনের ছাড় দেওয়ার পেছনে যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর বিবেচনায় তামাককে পুনরায় ‘লাল’ শ্রেণির তালিকায় নিয়ে আসা প্রয়োজন।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, তামাক কারখানাগুলো লাল থেকে কমলা শ্রেণিতে নিয়ে আসার জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার পাশাপাশি ফসলী জমিতে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।

তামাক বিরোধী নারী জোটের আহ্বায়ক ফরিদা আখতার বলেন, তামাক কোম্পানির পরিচালনা বোর্ডে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সরকারকে এসব দিকে নজর দিতে হবে।

আরএএস/এমএইচআর/এমএস

Read Entire Article