তারা কারা, শক্তির উৎস কোথায়?

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ও জুলাই অভ্যুত্থান এবং অভ্যুত্থানের পরে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার বক্তব্য দিয়ে আলোচিত নেতা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে গুলি এবং তার মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পরে দেশের শীর্ষ দুটি জাতীয় দৈনিকে হামলা-ভাঙচুর-আগুন এবং একই দিনে ময়মনসিংহে একজন হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন নাকি পরস্পর-সম্পর্কিত, সেটি এই মুহূর্তে একটি জটিল প্রশ্ন। দ্বিতীয় প্রশ্ন, কারা এই ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কী? তারা কি দেশে একটা চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে নির্বাচন বানচাল বা দীর্ঘ সময়ের জন্য পিছিয়ে দিতে চায় নাকি একটা চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নির্বাচন ছাড়াই নিজেদের ভাবাদর্শে আরেকটি নতুন সরকার গঠন করতে চায়? তৃতীয় প্রশ্ন, যারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে, দেশে ও দেশের বাইরে থেকে কারা তাদের ইন্ধন, প্রশ্রয়, সহযোগিতা ও সমর্থন দিচ্ছে? তারা প্রকারান্তরে কার বা কাদের হয়ে কাজ করছে? বাংলাদেশে অস্থিতিশীল হলে বা এখানে ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়েছে—বহির্বিশ্বে এই বার্তাটি ছড়িয়ে গেলে তার মধ্য দিয়ে

তারা কারা, শক্তির উৎস কোথায়?

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ও জুলাই অভ্যুত্থান এবং অভ্যুত্থানের পরে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার বক্তব্য দিয়ে আলোচিত নেতা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে গুলি এবং তার মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পরে দেশের শীর্ষ দুটি জাতীয় দৈনিকে হামলা-ভাঙচুর-আগুন এবং একই দিনে ময়মনসিংহে একজন হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন নাকি পরস্পর-সম্পর্কিত, সেটি এই মুহূর্তে একটি জটিল প্রশ্ন।

দ্বিতীয় প্রশ্ন, কারা এই ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কী? তারা কি দেশে একটা চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে নির্বাচন বানচাল বা দীর্ঘ সময়ের জন্য পিছিয়ে দিতে চায় নাকি একটা চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নির্বাচন ছাড়াই নিজেদের ভাবাদর্শে আরেকটি নতুন সরকার গঠন করতে চায়?

তৃতীয় প্রশ্ন, যারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে, দেশে ও দেশের বাইরে থেকে কারা তাদের ইন্ধন, প্রশ্রয়, সহযোগিতা ও সমর্থন দিচ্ছে? তারা প্রকারান্তরে কার বা কাদের হয়ে কাজ করছে? বাংলাদেশে অস্থিতিশীল হলে বা এখানে ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়েছে—বহির্বিশ্বে এই বার্তাটি ছড়িয়ে গেলে তার মধ্য দিয়ে কে বা কারা লাভবান হবে?

বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরত দীর্ঘায়িত হলে দীর্ঘ সময়ের জন্য এখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য রপ্তানি পণ্যের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়ে যাবে। বিদেশে ক্রেতারা অন্য দেশের দিকে ঝুঁকবে। তার সুফল কারা নেবে? বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকলে কার লাভ? সুতরাং, কোনো একটি ঘটনা ঘটলে কারা সেই ঘটনার নেপথ্যে আছে, সেটি বোঝার এটি একটি সূত্র যে, ওই ঘটনায় কে লাভবান হলো? সব সময় এই অঙ্ক সঠিক নাও হতে পারে। কিন্তু পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধানের জন্য এই সূত্রটি কাজে লাগানো হয়।

ওসমান হাদির হত্যার ঘটনা দিয়েই শুরু করা যাক। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়েছে তিনি চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় এবং যে মোটর সাইকেল থেকে গুলি করা হয়েছে, সেটিও ছিল চলন্ত। চলন্ত বাহন থেকে আরেকটি চলন্ত বাহনে টু দ্য পয়েন্ট গুলি করার দৃশ্য সিনেমায় দেখা যায়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে টু দ্য পয়েন্ট গুলি করার সক্ষমতা থাকে কেবল প্রশিক্ষিত শ্যুটার এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষ সদস্যদের। সুতরাং, ওসমান হাদিকে যিনি গুলি করেছেন তিনি হয় পেশাদার খুনি—অস্ত্র চালানোয় যার ভীষণ দক্ষতা আছে, না হয় তিনি কোনো বাহিনীর প্রশিক্ষিত সাবেক সদস্য। সুতরাং, ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনাকে নিছক একটি বিচ্ছিন্ন অপরাধ হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। এটি নিঃসন্দেহে একটি পরিকল্পিত খুন এবং এর পেছনে বড় কোনো শক্তি রয়েছে। সেই শক্তি দেশের ভেতরের হতে পারে, আবার দেশের বাইরেরও হতে পারে। তবে যারাই এর পেছনে থাকুক না কেন, সেটা খুঁজে বের করা জরুরি। শুধু ওসমান হাদির হত্যাকারীর বিচারের জন্য নয়, বরং কী উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটানো হলো এবং তারা কারা—এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্যও এটা প্রয়োজন।

ওসমান হাদির মৃত্যুর দিনেই, গত বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের ভালুকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী একজন পোশাক শ্রমিককে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ তুলে দলবদ্ধ হয়ে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। অথচ তার বিরুদ্ধে ‘ধর্ম অবমাননার’ কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ময়মনসিংহ র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মো. সামসুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেছেন, নিহত ব্যক্তি যদি ফেসবুকে কিছু লিখতেন তাহলেও একটা বিষয় হতো। সেখানে সবাই এখন বলছেন তারা তাকে (নিহত শ্রমিক) এমন কিছু বলতে নিজেরা শোনেননি। কেউ নিজে শুনেছেন বা দেখেছেন (ধর্ম অবমাননার বিষয়ে) এমন কাউকে পাওয়া যায়নি।

যে-কোনো সংবাদমাধ্যমের খবর কারো অপছন্দ হলে বা কারো বিরুদ্ধে গেলে তিনি ওই খবরের বিশ্বাসযোগ্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। খবরটি ভুল হলে প্রচলিত আইন ও নিয়ম-কানুন মেনে তার প্রতিকার চাইতে পারেন। ভুল হলে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের ক্ষমা চাওয়া এমনকি ওই পত্রিকা বা টেলিভিশনের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলাও করা যেতে পারে। কিন্তু খবর পছন্দ না বলে কিংবা কোনো দল বা বিদেশি সংস্থার সাথে যুক্ত অজুহাত তুলে পত্রিকার অফিস জ্বালিয়ে দেয়া কোনো সভ্য রাষ্ট্র অনুমোদন করে না।

র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি যখন টালমাটাল হয়ে ওঠে তখন ফ্যাক্টরি রক্ষায় তাকে বাইরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এরপর তাকে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার ভিডিও বিশ্লেষণ করে দুই জনকে আটক করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আরও পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।

কোনো স্বাভাবিক বোধ ও কাণ্ডজ্ঞানসম্পন্ন মানুষ একজন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে না। প্রশ্ন হলো, কারা এই কাজ করলো এবং কে বা কারা এতে উসকানি দিলো? সাধারণত এই ধরনের ঘটনায় শুরুতে একজন বা দুজনের উসকানি থাকে। তারপর এটা ছড়িয়ে পড়ে। সেই শুরুর লোকগুলোকে কি চিহ্নিত করা গেছে? তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা দরকার, তারা আসলেই কী উদ্দেশ্যে ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করলেন। তাদেরকে জিজ্ঞেস করা দরকার, কোরআনের কোন সুরা বা কোন হাদিসে এটা বলা আছে যে, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে একজন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া যাবে? এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ইসলামকে মহিমান্বিত করা হলো নাকি ইসলাম সম্পর্কে মানুষের মধ্যে, বিশেষ করে অমুসলিমদের মধ্যে একটা ভীতি ছড়িয়ে দেয়া হলো? সুতরাং যারা এই কাজ করেছেন তারা ইসলাম ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের জন্যই এই কাজ করেছেন কি না, সেটি জানা জরুরি।

ওসমান হাদির মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা—যেখানে তিনি জনগণকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সহনশীল থাকার আহ্বান জানান। অথচ তার ভাষণ শেষ হওয়ার পরেই দেশের শীর্ষ জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা চালালো একদল লোক। সেনাবাহিনী বিচারিক ক্ষমতাসহ মাঠে থাকার পরেও ঘটনার পরপর তাদেরকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। পুলিশও ছিল না। পত্রিকা দুটি জ্বালিয়ে দেয়া হলো, তার অনেক পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসেছে। অথচ রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে পত্রিকা দুটির প্রধান কার্যালয়ের অবস্থান। ঢাকা সেনানিবাস থেকে গাড়ি রওন হলে ডেইলি স্টারে আসতে সময় লাগে তিন মিনিট। কিন্তু সেনাবাহিনী ও পুলিশ এখানে এসেছে অনেক পরে। কারণ কী? সরকার চেয়েছে পত্রিকা দুটির কার্যালয় পুড়ে যাক নাকি তারা ভেবেছে ওখানে হামলাকারীদের বাধা দিলে আরও বড় সহিংসতা হবে? নাকি হামলাকারীরা পুলিশ ও সেনবাহিনীর চেয়েও বেশি শক্তিশালী?

ঘটনার পরে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় পত্রিকা দুটির সম্পাদকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনাদের প্রতিষ্ঠান ও সংবাদকর্মীদের ওপর এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও ন্যক্কারজনক হামলা আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। আপনাদের এই দুঃসময়ে সরকার আপনাদের পাশে আছে।”

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও এ বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, বৃহস্পতিবার হামলার সময় দুই সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকেরা ফোন করে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছিলেন। সব বন্ধুর কাছে আমি গভীরভাবে দুঃখিত যে কিছু করতে পারিনি। প্রেস সচিবের দাবি, সাহায্যের জন্য তিনি চেষ্টা করেছেন, দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে অসংখ্যবার ফোন করেছেন। কিন্তু সাহায্য সময়মতো পৌঁছায়নি।

প্রেস সচিবের নিজের বাসায় আক্রমণ হলে তিনি ফোনে সহায়তা চেয়ে না পেলে কী পরিস্থিতি হতো? যাদের সাড়া পাননি বা যাদের সহযোগিতা করার কথা ছিল তাদের কারো চাকরি থাকতো? সুতরাং, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারকে বাঁচানোর জন্য সহযোগিতা চেয়ে না পাওয়ার যে কথা তিনি লিখলেন, সেই ঘটনায় জড়িত কাউকে কি জবাবদিহির আওতায় আনা হয়েছে?

প্রশ্ন হলো, কারা দেশের শীর্ষ দুটি দৈনিক হামলা চালালো? এই প্রশ্নের খুব কঠিন নয়। কারণ অভ্যুত্থানের পরে এই পত্রিকা দুটিতে আগেও হামলা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ কিছু লোক অনেক দিন ধরেই হুমকি দিয়ে আসছিলেন। সুতরাং, কারা এই ঘটনার পেছনে আছেন সেটি এরইমধ্যে প্রমাণিত। তবে তাদের পেছনে কারা আছেন, সেটি জানা জরুরি।

ভিডিও ফুটেজ ও ছবিতে যে হামলাকারীদের দেখা যাচ্ছে, চেহারা দেখে তাদেরকে সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী মনে হয় না। বরং তাদেরকে মনে হয় ভাড়াটিয়া কর্মী। কোনো একটি দল বা গোষ্ঠীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে তারা এই কাজে এসেছেন। অথবা তারা কোনো উগ্রবাদী আদর্শের বা কোনো চরমপন্থি গ্রুপের সদস্য। তবে তাদের পরিচয় যাই হোক না কেন, এটা জানা জরুরি। কারণ যে-কোনো সংবাদমাধ্যমের খবর কারো অপছন্দ হলে বা কারো বিরুদ্ধে গেলে তিনি ওই খবরের বিশ্বাসযোগ্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। খবরটি ভুল হলে প্রচলিত আইন ও নিয়ম-কানুন মেনে তার প্রতিকার চাইতে পারেন। ভুল হলে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের ক্ষমা চাওয়া এমনকি ওই পত্রিকা বা টেলিভিশনের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলাও করা যেতে পারে। কিন্তু খবর পছন্দ না বলে কিংবা কোনো দল বা বিদেশি সংস্থার সাথে যুক্ত অজুহাত তুলে পত্রিকার অফিস জ্বালিয়ে দেয়া কোনো সভ্য রাষ্ট্র অনুমোদন করে না।

বাংলাদেশে পত্রিকার অফিস জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছিল ১৯৭১ সালে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী তখন ইত্তেফাক ও সংবাদ পত্রিকার অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ৫৪ বছর পরে সেই একইরকমের ঘটনা ঘটলো স্বাধীন দেশে, সেই দেশের কিছু উগ্র মানুষের হাতে।

পরিহাসের বিষয় হলো, যারা অন্তর্বর্তী সরকারের গত প্রায় দেড় বছর ধরে এই ধরনের মবসন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হয়নি। বরং সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে কেউ কেউ মবকে ‘প্রেশার গ্রুপ’ বলে তাদের অপরাধকে জায়েজ করেছেন। কিন্তু ইতিহাসের শিক্ষা হলো এই যে, যারা মবসন্ত্রাস উসকে দেয়, একসময় তাদেরকেও মবের শিকার হতে হয়। সেটি না হলেও তারা যখন ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাবেন, তখন এসব নিয়ে তাদেরকেও জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।

লেখক : সাংবাদিক ও লেখক।

এইচআর/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow