সিলেটে প্রথম টেস্টে লঙ্কানদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে গো-হারা হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
যে পিচে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা আর কামিন্দু মেন্ডিসরা শতরান করেছেন, সেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে মুমিনুল হকের ৮৭ রানের ইনিংসটি ছাড়া আর কেউ পঞ্চাশের ঘরেও পা রাখতে পারেননি।
প্রথম ইনিংসে ৫৭ রানে ৫ আর দ্বিতীয়বার ৬৪ রানে ৪ উইকেট খোয়ানোর পরও যথাক্রমে ২৮০ এবং ৪১৮ রান করেছে লঙ্কানরা, সেই খেলায় বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ১৮৮ ও ১৮২।
বোলাররা মোটামুটি উৎড়ে গেলেও ব্যাটাররা বিশেষ করে মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, শাহাদাত হোসেন দিপু ছিলেন চরম ব্যর্থ।
এমন নয় লঙ্কান বোলাররা আহামরি বোলিং করেছেন। ফার্নান্ডো, কাসুন রাজিথা আর লাহিরু কুমারা কেবল ভালো লাইন ও লেন্থে লম্বা সময় ধরে বল করে গেছেন। কিছু বল সুইং করেছে। তবে পিচ একদম আনপ্লেয়বেল ছিল না।
বাংলাদেশের খালেদ আহমেদ, অভিষেক হওয়া নাহিদ রানার বলেও সুইং ছিল। তারাও উভয় ইনিংসে লঙ্কান টপ অর্ডারে ভাঙন ধরিয়েছেন। কিন্তু ধনঞ্জয়া ডি সিলভা আর কামিন্দু মেন্ডিস ধৈর্য ধরে, বলের মেধা-গুণ বিচার করে খেলে রান পেয়েছেন। তারা অফস্টাম্পের আশপাশের বলকে যতটা সম্ভব ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বাংলাদেশের ব্যাটাররা সেই পথে হাঁটেননি।
অধৈর্য হয়ে অহেতুক অফস্টাম্পের বাইরের বলতে তাড়া করেছেন, বল ছেড়ে ও বলের গুণ বিচার করে না খেলে শটস খেলতে গিয়ে উইকেট বিসর্জন দিয়েছেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা। আর তাতেই চরম ভরাডুবি।
সিলেটে টাইগারদের অমন অনুজ্জ্বল ও শ্রীহীন পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন করতে গিয়ে দ্বিতীয় টেস্টের ভারপ্রাপ্ত হেড কোচ নিক পোথাস মনে করেন, এ তারুণ্যনির্ভর দলটির সময় প্রয়োজন।
যদি তাই হয়, তাহলে মাত্র ৩-৪ দিনের বিরতিতে চট্টগ্রামে কি শান্তর দল ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? পোথাস মনে করেন, পারবে। তিনি বলেন, ‘তারা ক্ষুধার্ত, তারা সত্যিই টেস্টে ভালো করতে চায়। সবসময়ই তারা ভালো করতে চায়। তারা দারুণ একটি গ্রুপ। তারা খুব ভালো আছে। আপনারা হয়তো তাদের মুখে হাসি দেখছেন। তাদের মুড ভালো রাখাটা জরুরি। আমরা অবশ্যই আবেগী দল নই। ড্রেসিংরুমও আবেগী নয়। ড্রেসিংরুম খুবই ভালো আছে। ছেলেরা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে রাখে। পরের ম্যাচে যে করেই হোক ছেলেরা জিততে চায়। এমনকি যেকোনো ম্যাচেই জিততে চায় ছেলেরা।’
এআরবি/এমএমআর/এএসএম