বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দেওয়ায় বগুড়ায় তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিল করেছে জেলা বিএনপি।
রোববর (১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় নবাববাড়ীস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে বগুড়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে আনন্দ মিছিল সাতমাথায় হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে।
আনন্দ মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম আর ইসলাম স্বাধীন, অ্যাড. হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উন নবী সালাম, যুগ্ম সম্পাদক শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন, মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপি নেতা শাহাদৎ হোসেন, সোলাইমান আলী, জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শুভ, শহর যুবদলের সভাপতি মাহসান হাবীব মমি, সাধারণ সম্পাদক আদিল সাহরিয়ার গোর্কী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান, শহর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক জামিলুর রহমান শাওন, সদস্য সচিব হোসেন আলী, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক অতুল চন্দ্র দাস, শহর ছাত্রদলের সভাপতি এসএম রাঙ্গা, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিমন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মিথ্যাভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের সাজানো একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ সব বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছিল। হাইকোর্ট সেই মিথ্যা মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। শেখ হাসিনার সরকার তারেক রহমানকে জেলে পাঠাতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়েছে। অবিলম্বে তারেক রহমানের নামে যত মিথ্যা মামলা আছে সব মামলা প্রত্যাহার এবং বাংলাদেশে ফিরিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে, কিন্তু তার দোসররা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি সব ষড়াযন্ত্রের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
সমাবেশে শেষে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সব নেতারা মুক্তি পাওয়ায় শুকরিয়া আদায় করে দোয়া ও মোনাজাত করেন নেতাকর্মীরা।