তারেক রহমানের নেতৃত্বে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হবে: কায়সার

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও নেত্রকোনা-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন- বাংলাদেশের মূল অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। আর সেই কৃষকদের সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায়—তা জানতে, বুঝতে এবং তাদের কাছ থেকে শুনতেই আমরা মাঠে এসেছি। আজ এখানে তিনজন খ্যাতিমান কৃষি বিশেষজ্ঞ আছেন। তারা কৃষকদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবেন; আর আমরা নির্বাচিত হলে সেই সমস্যাগুলো সমাধান করে কৃষিতে নতুন বিপ্লব আনবো।” তিনি আরও বলেন—বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচির মতো কৃষিবান্ধব উদ্যোগ পুনরায় চালু করা হবে। পাহাড়ি ঢল, পানির সংকট, বাজারব্যবস্থার অস্থিরতা—এসব মোকাবেলায় খাল খনন ও সেচব্যবস্থা আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি। জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে কৃষিতে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হবে।” এসময় তিনি কলমাকান্দা–দুর্গাপুর অঞ্চলের কৃষিকে ‘এই এলাকার মানুষের জীবনরেখা’ উল্লেখ করে বলেন- বিএনপি কৃষকের পাশে ছিল, আছে ও থাকবে।” শনিবার বিকেলে নাজিরপুর মাঠে বিএনপির কৃষি কথা ও কৃষি সমাবেশে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা–দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো কৃষিকে

তারেক রহমানের নেতৃত্বে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হবে: কায়সার

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও নেত্রকোনা-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন- বাংলাদেশের মূল অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। আর সেই কৃষকদের সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায়—তা জানতে, বুঝতে এবং তাদের কাছ থেকে শুনতেই আমরা মাঠে এসেছি। আজ এখানে তিনজন খ্যাতিমান কৃষি বিশেষজ্ঞ আছেন। তারা কৃষকদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবেন; আর আমরা নির্বাচিত হলে সেই সমস্যাগুলো সমাধান করে কৃষিতে নতুন বিপ্লব আনবো।” তিনি আরও বলেন—বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচির মতো কৃষিবান্ধব উদ্যোগ পুনরায় চালু করা হবে।

পাহাড়ি ঢল, পানির সংকট, বাজারব্যবস্থার অস্থিরতা—এসব মোকাবেলায় খাল খনন ও সেচব্যবস্থা আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি। জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে কৃষিতে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হবে।” এসময় তিনি কলমাকান্দা–দুর্গাপুর অঞ্চলের কৃষিকে ‘এই এলাকার মানুষের জীবনরেখা’ উল্লেখ করে বলেন- বিএনপি কৃষকের পাশে ছিল, আছে ও থাকবে।”

শনিবার বিকেলে নাজিরপুর মাঠে বিএনপির কৃষি কথা ও কৃষি সমাবেশে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা–দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো কৃষিকে কেন্দ্র করে বৃহত্তম জনসমাবেশ—কৃষিকথা ও কৃষক সমাবেশ।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে কলমাকান্দার ঐতিহাসিক নাজিরপুর ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত এ সমাবেশে অংশ নেন দুই উপজেলার হাজারো কৃষক, স্থানীয় সাধারণ মানুষ এবং বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। খণ্ড খণ্ড মিছিল, ঢাক–ঢোল, ব্যানার–ফেস্টুন ও ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলার কলরবে পুরো মাঠ পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত কৃষি-উন্নয়ন উৎসবে।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ খায়ের।

যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মুহাম্মদ এজমল হোসেন পাইলট এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান ভূইয়া। প্রধান অতিথি প্রফেসর ওয়াজেদ আলী খাঁন চাষী বলেন—কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষিখাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, পর্যাপ্ত ভর্তুকি ও সহজ শর্তে কৃষিঋণ নিশ্চিত করা হবে। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কামাল উদ্দীন ফিরোজ, আব্দুস ছালাম কেরণ, আপ্তাব উদ্দিন চৌধুরী, আবু চাঁন চেয়ারম্যান, আলম ভূইয়া, আওলাদ হোসেন এবং হারেজ গনি তালুকদার। সমাবেশে কৃষি উন্নয়ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন- প্রফেসর ড. মোঃ শফিউল্লাহ মজুমদার, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষিবিদ ড. আহমেদ খায়রুল হাসান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, অস্ট্রেলিয়া বিএনপি।

তাঁরা বীজমান উন্নয়ন, মাটির স্বাস্থ্য, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার, বাজারব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ ও কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

দুর্গাপুর–কলমাকান্দা এলাকায় প্রতিবছর কয়েক লক্ষ কৃষক ধানের পাশাপাশি সবজি উৎপাদন করেন। স্থানীয় অর্থনীতিতে বহু কোটি টাকার অবদান রাখলেও পাহাড়ি ঢল, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সেচসংকটে কৃষকরা নিয়মিত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে কৃষকেরা এ সমাবেশে তাঁদের প্রত্যাশা, সমস্যাবলী এবং ভবিষ্যৎ কৃষি নীতির চাহিদা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠান শেষে কৃষকদের মাঝে স্মারক, ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সমাবেশ শুরুর আগে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow