তারেক রহমানের সংবর্ধনা সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি

সতেরো বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এদিন রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় সংবর্ধনা দেওয়া হবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে। সেখানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নেতাকর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেবেন তারেক রহমান। তার দেশে ফেরা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অভ্যর্থনায় এদিন বিপুল গণজমায়েত হবে বলে জানানো হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। দেশে ফেরার পর তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা, তার কর্মসূচি এবং নিরাপত্তার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে জানাতে বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পরই সেখান থেকে তিনি যাবেন ঢাকার তিনশো ফিট সড়কে দলের আয়োজিত গণসংবর্ধনা সমাবেশে। ওই সমাবেশে তিনি একাই বক্তব্য দেবেন। সমাবেশ শেষ করে  তারেক রহমান মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। এছাড়া এই কর্মসূচি ঘিরে যেসব প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে

তারেক রহমানের সংবর্ধনা সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি
সতেরো বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এদিন রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় সংবর্ধনা দেওয়া হবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে। সেখানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নেতাকর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেবেন তারেক রহমান। তার দেশে ফেরা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অভ্যর্থনায় এদিন বিপুল গণজমায়েত হবে বলে জানানো হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। দেশে ফেরার পর তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা, তার কর্মসূচি এবং নিরাপত্তার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে জানাতে বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পরই সেখান থেকে তিনি যাবেন ঢাকার তিনশো ফিট সড়কে দলের আয়োজিত গণসংবর্ধনা সমাবেশে। ওই সমাবেশে তিনি একাই বক্তব্য দেবেন। সমাবেশ শেষ করে  তারেক রহমান মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। এছাড়া এই কর্মসূচি ঘিরে যেসব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে সরকারের পক্ষ থেকে যেমন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের রেড জোনে তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানাতে যাবেন শুধুমাত্র দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনা জানাতে রাজধানীতে যে জনসমাগম হবে, আয়োজনটি শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। গণমাধ্যম কর্মীদের জন্যও নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর কিংবা অভ্যর্থনাস্থলে রেড জোনে প্রবেশ না করতে গণমাধ্যম কর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছে দলটি। বিমানবন্দর এবং অভ্যর্থনাস্থলের জন্য আলাদা নিরাপত্তা পাশ দেওয়া হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। মি. আহমদ বলেন, যতটুকু নিরাপত্তা শঙ্কা আছে সেই লক্ষ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তার নিরাপত্তায় এসএসএফের বিষয়ে যে আলোচনা চলছে, সেটি সঠিক নয়। এছাড়া তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষ্যে সার্বিক আয়োজন ঘিরে বিমানবন্দর ও তিনশ ফিট, উত্তরাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ২০টি মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হচ্ছে। তিনশ ফিট সড়কে মূল মঞ্চের কাছাকাছি ছয় শয্যার মেডিকেল ক্যাম্প এবং আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স থাকবে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। আঠারো মাস কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছিলেন তারেক রহমান। পরে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে পরিবারের সদস্যদেরকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি। সেই থেকে এতদিন সতেরো বছর ধরে তিনি লন্ডনেই অবস্থান করেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow