তারেক রহমানের সঙ্গে যুগপৎ জোট নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও গণফোরামের নেতাদের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন নির্বাচন, যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক, আসন সমঝোতা এবং নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা রাশেদ খাঁন বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে আলোচনা করা হবে এবং ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটানো হবে। তিনি জানান, অতীতে ২৫টি আসনের বিষয়ে তারা ছাড় দিয়েছিলেন এবং বিএনপি তাদের সেই মূল্যায়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার আশঙ্কা তুলে ধরে রাশেদ খাঁন বলেন, প্রায় ৫০ জন প্রার্থী টার্গেট কিলিংয়ের ঝুঁকিতে থাকতে পারেন। এ বিষয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যারা নির্বাচনি প্রচারে যুক্ত আছেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্

তারেক রহমানের সঙ্গে যুগপৎ জোট নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও গণফোরামের নেতাদের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন নির্বাচন, যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক, আসন সমঝোতা এবং নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা রাশেদ খাঁন বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে আলোচনা করা হবে এবং ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটানো হবে। তিনি জানান, অতীতে ২৫টি আসনের বিষয়ে তারা ছাড় দিয়েছিলেন এবং বিএনপি তাদের সেই মূল্যায়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার আশঙ্কা তুলে ধরে রাশেদ খাঁন বলেন, প্রায় ৫০ জন প্রার্থী টার্গেট কিলিংয়ের ঝুঁকিতে থাকতে পারেন। এ বিষয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যারা নির্বাচনি প্রচারে যুক্ত আছেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন তিনি।

বৈঠকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যেন পারস্পরিক সন্দেহ তৈরি না হয়।

আসন সমঝোতা প্রসঙ্গে তিনি জানান, আলোচনা শুরু হয়েছে এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দূরত্ব কমিয়ে সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে তারা আশাবাদী। এ সময় তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার নিন্দা জানান এবং হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

সাইফুল হক আরও বলেন, নিজেদের মধ্যে কোনো ধরনের হঠকারিতা যেন না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচনি বিধিমালা (আরপিও) কোনো নির্দিষ্ট দলকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার জন্য করা হয়েছে কি না- সে বিষয়ে উচ্চ আদালতে সুরাহা হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, মোস্তফা জামান হায়দার, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জোনায়েদ সাকি, জগলুল হায়দার আফিক, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম ও তানিয়া রব।

কেএইচ/এএমএ/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow