তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অনশনরত শিক্ষার্থীরা সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছেন। তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত তারা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেবেন। সেখানে আমরণ অনশনে বসবেন।
এর আগে দুপুর ২টায় সেনাবাহিনীকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর নিয়ে সচিবালয় থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। এ চিঠি আসার পর অনশনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তিনটি দাবি করা হয়। সেগুলো হলো-
আরও পড়ুন
- অনশনে বসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ
- র্যাগিংয়ের দায়ে বাকৃবির ২৮ শিক্ষার্থী হল থেকে বহিষ্কার
১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে সই করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ বৈঠকের মাধ্যমে তা শেষ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালি সবার সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।
২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।
৩. যতদিন পর্যন্ত আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততদিন ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এই কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। বৈঠকে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। এরপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
এএএইচ/আরএএস/কেএসআর/এমএস