রংপুরে কোটা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে শুনানি শেষে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে আলমনগর এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আবু সাঈদ হত্যা মামলার আইনজীবী রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আইনজীবী আরও বলেন, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন আবু সাঈদ। সেই দিনের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, উস্কানিদাতাদের একজন তৎকালীন প্রক্টর শরিফুল ইসলাম। বিষয়টি আদালতে তুলে ধরা হয়েছে। শুনানি শেষে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদন জানান।
এর আগে এ মামলায় মহানগর পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান এই আইনজীবী।
গত ১৮ আগস্ট পুলিশের সাবেক আইজিপিসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় উল্লেখ করে মামলা করেন আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। পরবর্তী সময়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ সাতজনের নাম মামলায় নথিভুক্ত করার জন্য সম্পূরক এজাহার করেন তিনি। পরে আদালতের আদেশে তাদের ওই মামলায় নামীয় এজহারভুক্ত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
জিতু কবীর/এসআর/জিকেএস