তুচ্ছ ঘটনায় সাংবাদিককে পেটালেন শ্রমিক ও কৃষক দলের নেতাকর্মীরা

2 hours ago 3

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৈনিক দেশ রূপান্তরের কুয়াকাটা প্রতিনিধি কেএম বাচ্চু ও তার বাবা ইউনুচ খলিফাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ওই সাংবাদিক ও তার বাবাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কুয়াকাটা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা ও পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকার, তার ছেলে সম্রাট এবং শ্রমিক দলের শহীদ ও কাদেরের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ওই সাংবাদিক ও স্থানীয়রা।

আহত সাংবাদিক বাচ্চু ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক কেএম বাচ্চুর বাবা ইউনুচ খলিফা রাত আটটার দিকে চৌরাস্তা এলাকায় বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতা করছিলেন। এসময় ওই এলাকার এক বাদাম বিক্রেতার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী খন্দকার। ওই বাদাম বিক্রেতাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন তিনি। পরে ইউনুচ খলিফা এর প্রতিবাদ করেন। এর কিছুক্ষণ পর বাবাকে অপদস্তের কথা শুনে সাংবাদিক বাচ্চু সেখানে পৌঁছালে পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা ও আলী হোসেন খন্দকারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন তাকে লাঠিসোঁটা নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।

এক পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়রা ওই সাংবাদিক ও তার বাবাকে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠান।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী খন্দকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা বলেন, আমি ওখানে গিয়ে দেখি বাচ্চু খলিফাকে মারধর করা হচ্ছে। পরে আমি থামাতে গেলে বাচ্চু নিজেই আমার ওপর হামলা চালায়। আমি বর্তমানে কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি।

কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমান জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তাদের চিকিৎসা চলছে। আমরা পরবর্তীতে দলীয়ভাবে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবো।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এফএ/জেআইএম

Read Entire Article