তুমুল বৃষ্টিতেও অনশনে শিক্ষার্থীরা, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২

2 hours ago 2

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শর্তসাপেক্ষে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আমরণ অনশন করছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জোহা চত্বরে অনশন করছেন তারা।

২৩ ঘণ্টা পার হলেও তারা বসে আছেন সেখানে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও তাদের অনশন করতে দেখা যায়।

অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন দুজন শিক্ষার্থী। তারা হলেন সমাজকর্ম বিভাগের ২৪-২৫ সেশনের ইস্পাহানি ও আরবি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রমজানুল মোবারক। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এরআগে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় প্রথম এককভাবে অনশনে বসেন সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুল ইসলাম। এরপর তার সঙ্গে একত্মতা পোষণ করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।

তুমুল বৃষ্টিতেও অনশনে শিক্ষার্থীরা, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২

অনশনরত সজিবুর রহমান বলেন, ‌‘আমরা গতকাল রাত থেকে বসে আছি, রোদে পুড়ছি, বৃষ্টিতে ভিজছি, মশার কামড় খাচ্ছি। আমাদের শরীরের অবস্থা কী? তাও কেউ আমাদের দেখতে আসেনি। অনেকে স্লোগান দিয়েছিল—‘রক্ত লাগলে রক্ত নে, পোষ্য কোটার কবর দে’। তাদের রক্ত দেওয়া শেষ। আমাদের এখনো রক্ত দেওয়া শেষ হয়নি, আমরা আছি। যতক্ষণ না সমাধান হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না, এখনো নেই। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমি এখানে আছি এবং থাকবো।’

সমাজকর্ম বিভাগের ২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থী সানজিদা বলেন, ‘আমার ভাইয়েরা গতকাল থেকে বৃষ্টিতে ঘুরছে, রোদে পুড়ছে, মশার কামড় খাচ্ছে। অথচ তাদেরকে দেখার মতো কেউ নেই। আমি বলতে চাই, প্রশাসনের নামেই প্রহসন আর কতদিন? আমরা যেখানে ৬০-৬৫ পেয়ে ভর্তি হতে পারি না, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকতা-কর্মচারীদের সন্তানরা নামমাত্র পাস নম্বর পেয়ে কীভাবে ভর্তি হয়?’

দুপুর ১টার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে দেখা যায়, সেখানে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক। তিনি বলেন, ‘আমি মূলত ছাত্রদের খোঁজখবর নিতে এখানে এসেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি, তারা খুব কষ্টের মধ্যে আছে। তাই আমি নিজেও তাদের সঙ্গে অনশনে যোগ দিয়েছি। এরইমধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে পাঠিয়েছি।’

মনির হোসেন মাহিন/এসআর/জেআইএম

Read Entire Article