তুরস্কে এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী ও বিরোধীনেতা একরেম ইমামোগলুকে গ্রেফতারের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে। যা এখনো চলছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষুব্ধজনতার দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাই বিক্ষোভ দমনে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে দেশটির প্রশাসন। এরই মধ্যে এক হাজার ৫০০-এর বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগে ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গত সপ্তাহে গ্রেফতারের পর তুরস্কে এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ শুরু হয়। কারণ বিরোধী সমর্থকরা এই পদক্ষেপকে আইনের শাসনের স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন।
তাছাড়া বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী জলকামান, মরিচের স্প্রে ও রাবার বুলেট ব্যবহার করায় ইউরোপীয় কাউন্সিল নিন্দা জানিয়েছে।
অন্যদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সতর্ক করে জানিয়েছে, এটি তুরস্কের গণতন্ত্রের জন্য একটি অন্ধকার সময়।
তার গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে বহু মানুষ ব্যালট বাক্সের মধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ ভোটার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) প্রার্থী হিসেবে ইমামোগলুকে সমর্থন করেছেন।
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ২২ বছর ধরে তুরস্ক শাসন করছেন। তার শাসনামলে দেশটির গণতান্ত্রিক ভিত্তি ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়েছে। ২০১৭ সালে সংবিধান পরিবর্তনের পর থেকে এরদোয়ান প্রায় অবারিত ক্ষমতায় দেশ পরিচালনা করছেন। তার সরকার এখন তুরস্কের বিচার বিভাগ, নিরাপত্তা সংস্থাসহ প্রায় সব গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।
এরদোয়ানকে অনেকেই ১৯৯০-এর দশক থেকে সম্ভাব্য একনায়ক হিসেবে দেখে আসছেন। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘গণতন্ত্র হলো একটি ট্রাম; গন্তব্যে পৌঁছালে তা থেকে নেমে যেতে হয়।’ যদিও ক্ষমতার শুরুর বছরগুলোতে এরদোয়ান অনেককে আশ্বস্ত করেছিলেন, তবে পরে তিনি বিরোধীদের দমন করতে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন।
সূত্র: এএফপি
এমএসএম