তুরস্কের উপকূলে দুই ট্যাংকারে বিস্ফোরণ
তুরস্কের বসফরাস প্রণালীর কাছাকাছি কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার শ্যাডো ফ্লিটের দুটি ট্যাংকারে বিস্ফোরণ ঘটেছে। শুক্রবারের (২৮ নভেম্বর) এ ঘটনায় ট্যাংকার দুটিতে থাকা নাবিকদের উদ্ধারে জরুরি অভিযান শুরু করে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। তুরস্কের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৭৪ মিটার-লম্বা ট্যাংকার ‘কাইরোস’ মিশর থেকে রাশিয়ার দিকে যাওয়ার পথে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে দুটি দ্রুতগতির উদ্ধার নৌযান, একটি টাগবোট এবং একটি জরুরি সহায়তা জাহাজ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। জাহাজে থাকা ২৫ জন নাবিককেই নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। তুরস্কের সমুদ্র বিষয়ক অধিদপ্তর জানায়, কাইরোস রাশিয়ার নভোরোসিস্ক বন্দরে যাচ্ছিল। তুরস্কের উপকূল থেকে ২৮ নটিক্যাল মাইল দূরে বাহ্যিক আঘাতের কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আরেকটি ট্যাংকার ‘ভিরাট’—যা তুরস্কের উপকূল থেকে ৩৫ নটিক্যাল মাইল দূরে পূর্ব দিকে অবস্থান করছিল—এটিতেও আঘাতের খবর পাওয়া যায়। সেখানে উদ্ধারকারী ইউনিট ও একটি বাণিজ্যিক জাহাজ পাঠানো হয়। ভিরাটের ইঞ্জিন রুমে ভারি ধোঁয়া দেখা গেলেও জাহাজের ২০ জন কর্মী ভালো আছেন বলে জানানো হয়েছে। লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, কাইরোস ও ভিরাট—দ
তুরস্কের বসফরাস প্রণালীর কাছাকাছি কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার শ্যাডো ফ্লিটের দুটি ট্যাংকারে বিস্ফোরণ ঘটেছে। শুক্রবারের (২৮ নভেম্বর) এ ঘটনায় ট্যাংকার দুটিতে থাকা নাবিকদের উদ্ধারে জরুরি অভিযান শুরু করে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।
তুরস্কের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৭৪ মিটার-লম্বা ট্যাংকার ‘কাইরোস’ মিশর থেকে রাশিয়ার দিকে যাওয়ার পথে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে দুটি দ্রুতগতির উদ্ধার নৌযান, একটি টাগবোট এবং একটি জরুরি সহায়তা জাহাজ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। জাহাজে থাকা ২৫ জন নাবিককেই নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
তুরস্কের সমুদ্র বিষয়ক অধিদপ্তর জানায়, কাইরোস রাশিয়ার নভোরোসিস্ক বন্দরে যাচ্ছিল। তুরস্কের উপকূল থেকে ২৮ নটিক্যাল মাইল দূরে বাহ্যিক আঘাতের কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরেকটি ট্যাংকার ‘ভিরাট’—যা তুরস্কের উপকূল থেকে ৩৫ নটিক্যাল মাইল দূরে পূর্ব দিকে অবস্থান করছিল—এটিতেও আঘাতের খবর পাওয়া যায়। সেখানে উদ্ধারকারী ইউনিট ও একটি বাণিজ্যিক জাহাজ পাঠানো হয়।
ভিরাটের ইঞ্জিন রুমে ভারি ধোঁয়া দেখা গেলেও জাহাজের ২০ জন কর্মী ভালো আছেন বলে জানানো হয়েছে।
লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, কাইরোস ও ভিরাট—দুটি জাহাজই ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আক্রমণের পর মস্কোর বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কৃষ্ণ সাগরে ভাসমান মাইনে জাহাজের ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটেছে এবং কয়েকটি মাইন সাগরে ভাসতে দেখা গেছে।
শিপিং এজেন্সি ট্রিবেকা জানিয়েছে, গাম্বিয়ার পতাকাবাহী কাইরোস খালি অবস্থায় চলছিল এবং ধারণা করা হচ্ছে এটি সম্ভবত একটি মাইনে আঘাত করেছিল। জাহাজটি ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতেও রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই ঘটনার মধ্যেও বসফরাস প্রণালী দিয়ে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম
What's Your Reaction?